প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: থাকার সমস্যা হচ্ছে সিআরপিএফ জওয়ানদের। তাছাড়া নির্যাতিতার বাড়িতে শৌচাগারের সমস্যাও গুরুতর, এমনই যুক্তিতে উন্নাও নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের দাবি জানাল কেন্দ্র। পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এখন আর জীবনের ঝুঁকি নেই উন্নাওয়ের নির্যাতিতার পরিবারের। ফলে ওই পরিবারের ১৪ জন সদস্যের জন্য যে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বহাল করা হয়েছিল তা এবার প্রত্যাহারের অনুমতি দেওয়া হোক। এমনই আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের আবেদনের পালটা নির্যাতিতার পরিবারের জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত।
২০১৭ সালের ৪ জুনে গণ-ধর্ষিতা হন উন্নাওয়ের কিশোরী। মূল অভিযুক্ত ছিলেন তৎকালীন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার। পরিবার পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ ছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লেখেন নির্যাতিতা। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের সামনে ধর্নায় বসেন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। সেখানেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন নির্যাতিতা। এই ঘটনার পর উলটে নির্যাতিতার বাবাকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার বাবার। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। গ্রেপ্তার হন বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার। তবে দফায় দফায় হামলা চলে নির্যাতিতার পরিবারের উপর। শেষে এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় কুলদীপের। নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা মাথায় রেখে ২০১৯ সালের ১ আগস্ট ওই পরিবারকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
দীর্ঘ ৫ বছর ধরে নির্যাতিতার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার পর গত মঙ্গলবার সেই নিরাপত্তা প্রত্যাহারের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হল মোদি সরকার। আদালতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় মূল অপরাধী বর্তমানে জেলবন্দি। তাঁর সমর্থকরা নির্যাতিতার উপর হামলা চালাতে পারে এই যুক্তি ভিত্তিহীন। তাছাড়া যারা যে সিআরপিএফ জওয়ানরা নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তায় রয়েছে তাঁদের যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাঁদের থাকা ও শৌচালয়ের সমস্যা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশের সাহায্যও পাচ্ছে না তাঁরা। এর পাশাপাশি কেন্দ্র জানায়, তেমন হলে উত্তর প্রদেশ বা দিল্লি পুলিশ নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত মে মাসে এমনই দাবি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও সেই আবেদনে ত্রুটি দেখিয়ে মামলা খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। নতুন করে এই ইস্যুতে কেন্দ্রের আবেদনের পর এই ইস্যুতে নির্যাতিতার পরিবারের মতামত জানতে চাইল শীর্ষ আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.