ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত এপ্রিল-মে মাসে দেশজুড়ে চলতে থাকা করোনার (COVID-19) দ্বিতীয় ঢেউয়ের (Second wave) প্রভাব এখন অনেকটাই স্তিমিত। কিন্তু ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা কোভিডের R-value বাড়তে শুরু করেছে। কয়েক মাস কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ফের আর-ভ্যালুর মাত্রা ১ পেরিয়ে গিয়েছে। গত মার্চে আর-ভ্যালুর মাত্রা ১-এর গণ্ডি পেরনোর পরই এপ্রিলে দেশে আছড়ে পড়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ফলে এবার ফের উদ্বিগ্ন কেন্দ্র।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে সংক্রমিত হয়েছেন ২৮ হাজার ২০৪ জন, যা গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, যতই সংক্রমণ কমুক, আর-ভ্যালুর মাত্রা ১ পেরিয়ে যাওয়াটা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত মার্চে দেশের আর-ভ্যালু দাঁড়িয়েছিল ১.৩২। এরপরই দেশের সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে শুরু করে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশের আর-ভ্যালু এখন ১.৩। উত্তরপ্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষেত্রে তার মান যথাক্রমে ১.১ ও ১.০। পাশাপাশি গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশেও ১-এর গণ্ডি ছাড়িয়েছে আর-ভ্যালু।
ঠিক কী এই আর-ভ্যালু? এটা এমন এক গাণিতিক একক যার দ্বারা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি বা হ্রাসের হিসেবটা বোঝা যায়। সোজা কথায়, একজন আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কতজন আক্রান্ত হতে পারেন সেই হিসেবই দেয় আর-ভ্যালু। সাধারণ ভাবে নিয়ম হল এই ভ্যালু ১-এর নিচে থেকে গেলে ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু ১-এর উপরে থাকা মানেই তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
গত জুনে আর-ভ্যালুর মান কমে দাঁড়িয়েছিল ০.৭৫। এরপর থেকেই একটু একটু করে বাড়তে থাকে মান। জুলাইয়ের গোড়ায় তা ০.৮৭ হয়েছিল। মাসের মাঝখানে ০.৯৫ হয়ে অবশেষে মাস শেষ হতে না হতেই ১-এর গণ্ডি পেরিয়ে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে আর-ভ্য়ালু।
এদিকে ‘ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া’ (DCGI) দেশে কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড মিশিয়ে প্রয়োগ করার বিষয়ে পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। ভেলোরের ‘খ্রিস্টান মেডিক্য়াল কলেজ’-এ এই ট্রায়াল হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.