সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ২৩ মার্চ রাত আটটায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ঘোষণা করেছিলেন মাত্র চার ঘণ্টা পর থেকে শুরু হচ্ছে দেশব্যাপী সম্পূর্ণ লকডাউন (Nationwide Lockdown)। সেই সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল, কেন এত অল্প সময়ের নোটিসে এভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হল। এবার এই বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে লিখিত প্রশ্ন করল কংগ্রেস (Congress)। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি কেন্দ্রের কাছে লিখিত প্রশ্নটি করার পর মঙ্গলবার এর উত্তর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্ন ছিল, ‘‘কী কারণে ২৩ মার্চ মাত্র চার ঘণ্টার নোটিশে লকডাউন ঘোষণা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল? কেন তড়িঘড়ি এত অল্প সময়ের মধ্যেই গোটা দেশে লকডাউন করতে হল? লকডাউন কি কোভিড-১৯-কে রুখতে সক্ষম হয়েছে?’’ উত্তরে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছিলেন, এখনই মানুষের চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি না করলে কোভিড-১৯ সংক্রমণ অতি দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়বে।
সরকারের তরফে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই কংগ্রেসের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে জানান, ৭ জানুয়ারি থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করার পর থেকে সরকার নানা পদক্ষেপ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রমণের মোকাবিলা করার জন্য। যার মধ্যে অন্যতম আন্তর্জাতিক উড়ানের নিষেধাজ্ঞা। সরকারের বক্তব্য, ২৪ মার্চ থেকে দ্রুত লকডাউন ঘোষণা না করলে করোনা ভাইরাস ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ত দেশজুড়ে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পরিস্থিতি দেখেই লকডাউনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, দেশব্যাপী লকডাউন বলবৎ হওয়ার ফলে ভারত সাফল্যের সঙ্গে কোভিড-১৯-এর রাক্ষুসে গতিকে প্রতিহত করতে পেরেছে। এবং প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার সময় পেয়েছে। জানানো হয়েছে, মার্চের পর থেকে আইসোলেশন বেডের সংখ্যা বেড়েছে ২২ গুণ। একই ভাবে ১৪ গুণ বেড়েছে আইসিইউ বেডের সংখ্যা। পাশাপাশি গবেষণাগারের সংখ্যাও বেড়েছে দশ গুণ।নিত্যানন্দ রাই তাঁর লিখিত জবাবে আরও দাবি করেন, সরকার তখন তড়িঘড়ি লকডাউন না করলে দেশে আরও ১৪ থেকে ২৯ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হতেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.