Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিদেশ থেকে কত কালো টাকা ফিরল? জবাব দিতে নারাজ কেন্দ্র

কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের নির্দেশও মানল না পিএমও।

Centre refusal to share black money details
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:November 26, 2018 10:32 am
  • Updated:November 26, 2018 10:35 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  লোকসভার ভোটের আর বেশি দেরি নেই।গত সাড়ে চার বছরে বিদেশ থেকে কত কালো টাকা ফিরল দেশে? জবাব দিতে নারাজ কেন্দ্র।কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের নির্দেশও মানতে রাজি নয় মোদি সরকার।প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সাফাই, কালো টাকা উদ্ধারে বিশেষ তদন্তকারী বদল বা সিট গঠন করা হয়েছে, তদন্ত চলছে।এখন যদি কালো টাকা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়, তাহলে তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে।

[‘কুম্ভমেলাতেই ঘোষিত হবে রাম মন্দির নির্মাণের দিন’]

Advertisement

দুর্নীতি আর কালো টাকা।২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে এই দুটিই ছিল ইস্যু।বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকা ফিরিয়ে আনাই শুধু নয়, প্রত্যেক দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি।কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর কালো টাকা একটিও শব্দ খরচ করেননি তিনি।আগাগোড়া চুপ থেকেছেন কেন্দ্রের অন্যন্য মন্ত্রীরাও।উলটে কালো টাকা ফেরানোর অজুহাতে রাতারাতি নোট বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।কিন্তু, কালো টাকা ফেরেনি।নোট বাতিলের সময় যতটা টাকা বাজারে ছিল, ততটা টাকাই জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। ২০১৪ সালের জুন মাসের পর থেকে বিদেশ থেকে কত কালো টাকা দেশে ফিরেছে? তথ্য জানার অধিকার আইনে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন সঞ্জীব চর্তুবেদি নামে এক আমলা।কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এই বিষয়ে কোনও তথ্য দেওয়া যাবে না।কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের দ্বারস্থ হন সঞ্জীব।গত ১৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে ১৫ দিনের মধ্যে কালো টাকা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন।কিন্তু, নিজেদের অবস্থানেই অনড় মোদি সরকার।কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনকেও কার্যত একই জবাব দিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।

কী জানিয়েছেন পিএমও? তদন্তের দোহাই দিয়ে কালো টাকা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে মোদি সরকার।দিন কয়েক আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশ না করার জন্য আরবিআইয়ের গর্ভনরকে শোকজ করেছিল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন।পিএমও ও অর্থমন্ত্রককেও চিঠি দিয়ে ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।

[ এবার ইন্দিরা গান্ধীকেও প্রতারক বললেন প্রধানমন্ত্রী!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement