সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাম্পত্যে পূর্ণতা আনে সন্তান। আদরের ছেলে বা মেয়েটিকে বড় করে তুলতে নিজেদের কত ছোট ছোট সুখ, ভাললাগাকে যে বির্সজন দেন বাবা-মায়েরা! চাওয়া তো একটাই, ‘সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’। কিন্তু, বৃদ্ধ বয়সে সেই সন্তানই আবার বাবা-মাকে অবহেলা করে দূরে ঠেলে দেয়। ‘গুণধর’ সন্তানদের শায়েস্তা করতে আইন আরও কড়া করল কেন্দ্র সরকার। তিন মাস নয়, বৃদ্ধ বাবা-মাকে অবহেলার শান্তি এখন ছয় মাসের জেল।
[অমানবিক! বৃদ্ধা মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়াল গুণধর ছেলে]
বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। পড়াশোনার শেষে একমাত্র সন্তান হয়তো কর্মসূত্রে থাকে ভিনরাজ্যে কিংবা ভিন দেশে। বাবা-মার কথা তখন আর খেয়াল থাকে না। চরম অবহেলায় দিন কাটে বৃদ্ধ দম্পতির। এমনকী, সম্পত্তি হাতাতে বয়সের ভারে ঝুঁকে পড়া, অশক্ত বাবা-মাকে সন্তানের মারধরের ঘটনা বিরল নয়। বৃদ্ধ বাবা-মায়ের লাঞ্ছনা, অপমান সমাজের চোখে সন্তানকে তো অপরাধী করে তোলেই। আইন তাঁদের ছেড়ে কথা বলে না। ২০০৭ সালে পাস হয়েছিল ‘মেনটেন্যান্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অফ পেরেন্টস অ্যান্ড সিনিয়র সিটিজেনস অ্যাক্ট’। কেন্দ্রে তখন কংগ্রেসের সরকার। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সেই আইন অনুসারে, বৃদ্ধ বাবা-মাকে অবহেলা করলে, সন্তানকে জেলে যেতে হবে। শাস্তির মেয়াদ ছিল তিনমাস। সেই আইনটিকে সংশোধন করতে চাইছে মোদি সরকারের সামাজিক ন্যায় বিচার মন্ত্রক। নয়া আইনে সন্তানের ছয় মাস পর্যন্ত হাজতবাস হবে। শুধু তাই নয়, আইনের পরিসর আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতদিন শুধুমাত্র ছেলে কিংবা মেয়ে এবং নাতি-নাতনিদের ‘মেনটেন্যান্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অফ পেরেন্টস অ্যান্ড সিনিয়র সিটিজেনস অ্যাক্ট’-এ সাজা দেওয়া যেত। কিন্তু, সংশোধিত আইনে বৃদ্ধ বাবা-মায়ে দেখভাল করতে দায়বদ্ধ থাকবেন দত্তক সন্তান, সৎ ছেলে-মেয়ে, এমনকী, জামাই ও পুত্রবধূও।
[ইন্দোরে শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিল আদালত]
বদল আরও আছে। সূত্রের খবর, সংশোধিত আইনে বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেওয়া মাসোহারার পরিমাণ বাড়তে পারে। খসড়া বলা হয়েছে, বড় দরের চাকুরি সন্তানকে বাবা-মাকে আরও বেশি টাকা দিতে বাধ্য থাকবেন। কোনওরকম অবহেলার শিকার হলে মেনটেন্যান্স ট্রাইবুনালে সন্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারবেন বৃদ্ধ বাবা-মা।
[চলতি মাসের শেষে দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট, সমস্যায় আমজনতা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.