ফাইল ছবি
নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার সাত বছর পূর্ণ হল। ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) অনুষ্ঠানেই দেশের সমস্ত নাগরিকদের জন্য এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। প্রকল্পটি চালু হয়েছিল ২৮ আগস্ট। বর্তমানে প্রায় ৪৩ কোটি গ্রাহক জন ধন যোজনার সুবিধা পান। এ বার এই প্রকল্পের গ্রাহকদের জীবন বিমা ও দুর্ঘটনা বিমার সুবিধাও দেওয়া যায় কি না, খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র। শনিবার একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।
শনিবার অর্থ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার গ্রাহকদের এবার প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার অধীনে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কগুলিকে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থ পরিষেবার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনার অধীনে প্রতিদিন এক টাকারও কম অঙ্কের অর্থ জমা রাখলে ২ লক্ষ টাকার জীবন বিমার সুযোগ পাওয়া যায়। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার অধীনে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বা বিকলাঙ্গ হয়ে গেলে ২ লক্ষ টাকা এবং আংশিক পঙ্গুত্বের জন্য ১ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় কেন্দ্রের তরফে। এক্ষেত্রে বছরে মাত্র ১২ টাকা জমা করতে হয়।
অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের তরফে জন ধন যোজনার গ্রাহকদের মধ্যে ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধা, মাইক্রো ক্রেডিট ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধাও পৌঁছে দেওয়ারও চেষ্টা করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার অধীনে বিগত সাত বছরে সাধারণ মানুষ দারুণ উপকৃত হয়েছেন। সমাজের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তির কাছেও আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের যেমন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়েছে, তেমনই সমস্ত পরিষেবার সুযোগও সমাজের প্রতিটি কোণে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”
অর্থমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের আগস্টে জন ধন যোজনার গ্রাহক ছিলেন ১৭.৯ কোটি ভারতীয়। চলতি বছরের আগস্টে তা ৪৩.০৪ কোটিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে অ্যাকাউন্ট গ্রাহকদের মধ্যে ৫৫.৪৭ শতাংশ মহিলা রয়েছেন। গ্রাহকদের ৬৬.৬৯ শতাংশই গ্রামীণ বা মফস্বলের বাসিন্দা। অর্থ রাষ্ট্রমন্ত্রী ভগৎ করাদ জানান, প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা কেবল ভারতেই নয়, গোটা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সফল আর্থিক যোজনা, যা প্রতিটি ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। তিনি বলেন, “মানুষকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এতে গরিবরা যেমন নিজেদের পুঁজি সুরক্ষিত জায়গায় জমিয়ে রাখতে পারে, তেমনই পরিবারে বিপদের সময় বা কোনও প্রয়োজনে মহাজনের কাছে না গিয়ে সরাসরি নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে ব্যবহার করা যায়।” অর্থমন্ত্রকের বিবৃতি জানাচ্ছে, ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রতি দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মধ্যে একটি প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার অধীনে খোলা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.