Advertisement
Advertisement
India

আলোচনা নিষ্ফল! লাদাখের ভূখণ্ড নিয়ে ২ নতুন প্রদেশ চিনের, তীব্র প্রতিবাদ ভারতের

কয়েকদিন আগেই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরানো নিয়ে চুক্তি হয়েছিল দুদেশের মধ্যে।

Centre lodges protest with China over 2 new counties which include a part of India
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:January 3, 2025 4:52 pm
  • Updated:January 3, 2025 6:07 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত ভারত-চিন সীমান্ত। গত বছরের অক্টোবর মাসেই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চুক্তি হয় দুদেশের মধ্যে। ডেমচক, দেপসাংয়ের মতো একাধিক এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেয় ভারত-চিন। কিন্তু সীমান্তের পরিস্থিতি যে আদৌ শান্ত হয়নি এবার তার প্রমাণ মিলল। সেই লাদাখ ভূখণ্ড নিয়ে ২ নতুন প্রদেশ তৈরি করছে চিন! এনিয়ে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত।

জানা গিয়েছে, হোটান প্রদেশে নতুন ২ কাউন্টি তৈরি করার ঘোষণা করেছে চিন। কিন্তু এই অঞ্চলগুলোর বেশ কিছুটা ভারতের লাদাখের অংশ। স্বাভাবিকভাবেই কমিউনিস্ট দেশটির এই আগ্রাসনে ক্ষোভে ফুঁসছে দিল্লি। ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে তিনি বলেন, “আমাদের নজরে এসেছে চিন হোটান প্রদেশে নতুন ২ কাউন্টি তৈরি করার ঘোষণা করেছে। কিন্তু এই অঞ্চলগুলোর বেশ কিছুটা লাদাখের অংশ। চিনের এই দখলদারি আমরা কখনই মেনে নেব না।”

Advertisement

কূটনৈতিক স্তরে এই আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানানোর কথা বলেন রণধীর। তিনি জানান, “চিন নতুন প্রদেশ তৈরি করলেও ভারতের অবস্থানের কোনও বদল হবে না। লাদাখের ওই অংশ আমাদের ছিল আমাদেরই থাকবে। আমরা কূটনৈতিকভাবে চিনের কাছে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাবো।” উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় মুখোমুখি হয় ভারতও চিনের ফৌজ। লোহার রড ও কাঁটাতার জড়ানো হাতিয়ার নিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা লড়াই চলে। রক্তক্ষয়ী সেই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। ১৯৭৫ সালে পর এই প্রথম প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পরেই সীমান্তে কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি শান্ত করতে কয়েক দফা আলোচনায় বসে দুই দেশের সেনাবাহিনী।

অবশেষে ৪ বছর পর লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত ও চিন। গত বছরের অক্টোবর মাসে কেন্দ্র ও বিদেশমন্ত্রক জানায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফৌজ সরিয়ে নিয়েছে বেজিংও। এই উপলক্ষ্যে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময়ও করে দুদেশের সেনাবাহিনী। কিন্তু সেই আলোচনা বা চুক্তি যে নিষ্ফলই তা প্রমাণ হয়ে গেল চিনের গাজোয়ারিতে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement