সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির আমলা নিয়ন্ত্রণ বিলের পর এবার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ। ফের সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘অকেজো’ করতে সংসদে আইন আনছে মোদি সরকার। প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী, দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার-সহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আর কোনওরকম হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না প্রধান বিচারপতি।
মার্চ মাসে এক ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষমতা একচ্ছত্রভাবে মন্ত্রিসভার হাতে থাকবে না। এদের নিয়োগ করবে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিচারপতির যৌথ কমিটি। এই কমিটির সুপারিশ মেনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। যদি কখনও লোকসভায় বিরোধী দলনেতা পদে কেউ না থাকেন, তাহলে বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতাকেই এই কমিটিতে নেওয়া হবে। যার ফলে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের অধিকার ন্যস্ত হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) এবং প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) বেঞ্চে।
সুপ্রিম কোর্টের সেই রায় এবার অকেজো করতে চাইছে মোদি সরকার। প্রস্তাবিত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (সংশোধনী) বিল অনুযায়ী, এবার থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির কোনও ভূমিকা থাকবে না। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ করা মন্ত্রিসভার এক সদস্য। অর্থাৎ ৩ সদস্যের কমিটির দুই সদস্যই হবেন সরকারি প্রতিনিধি। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনার পদে কারণ নাম নিয়ে বিরোধী দলনেতার আপত্তি থাকলেও সংখ্যাধিক্যের বলে সরকার তাঁকে উপেক্ষা করতে পারবে।
মোদি সরকারের আমলে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, কমিশন নিরপেক্ষতা হারিয়ে বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে। নির্বাচন কমিশনারদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই আইন পাশ হয়ে গেলে অভিযোগ আরও জোরাল হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.