সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কের মধ্যে অবশেষে টনক নড়ল কেন্দ্রের। বরখাস্ত করা হল বিতর্কিত IAS আধিকারিক পূজা খেদকারকে। সূত্রের খবর, পূজাকে অবিলম্বে IAS আধিকারিক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাসখানেক আগেই পূজার UPSC প্রার্থীপদও বাতিল করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ব্যাচের শিক্ষানবিশ আমলা পূজা মহারাষ্ট্রের পুণেতে অ্যাসিসট্যান্ট কালেক্টর হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রবেশনারি আইএএস (IAS) অফিসারদের যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা নয়, তাও নিচ্ছিলেন তিনি। নিজের অডি গাড়িতে লালবাতি এবং মহারাষ্ট্র সরকারের বোর্ড লাগিয়ে ঘুরতেন। যদিও সেই অনুমতি নেই প্রবেশনারি আইএএস অফিসারদের। চাকরিতে যোগ দিয়েই ক্ষমতার অপব্যবহারের পাশাপাশি পূজার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে অ্যাডিশনাল কালেক্টর অজয় মোরের অনুমোদন ছাড়াই তাঁর অফিসের আসবাবপত্র সরিয়ে ফেলে অফিসের একাংশ দখল করেন তিনি। পাশাপাশি রেভিনিউ অ্যাসিসট্যান্টকে পূজা নির্দেশ দেন, লেটারহেড দিতে হবে তাঁকে। ঘরের বাইরে রাখতে হবে নেমপ্লেট।
এসব অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর পূজার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে আরও বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা যায়। জানা যায়, ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করতেও বহু নিয়ম বহির্ভূত কাজ করেছেন তিনি। নির্ধারিত সীমার বেশিবার পরীক্ষা দিতে নাম, পরিচয় ও বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল পূজার বিরুদ্ধে। তদন্তকারীদের দাবি, ২০২০ সালে তাঁর ব্যবহৃত নাম ছিল খেদকার পূজা দিলীপরাও। বয়স লেখা ছিল ৩০। আবার ২০২৩ সালের পরীক্ষায় নাম পূজা মনোরমা দিলীপ খেদকার। বয়স ৩১। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, তিন বছরে মাত্র এক বছর বয়স কী করে বাড়ল! আসলে ইউপিএসসিতে জেনারেল ক্যাটাগরির প্রার্থী ৩২ বছর বয়সের মধ্যে ৬ বার পরীক্ষা দিতে পারেন। আবার ওবিসি প্রার্থীরা ৩৫ বছরের মধ্যে ৯ বার পরীক্ষায় বসতে পারেন। সূত্রের দাবি, পূজা মোট ১১ বার ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। অভিযোগ প্রতিবার পরীক্ষা দেওয়ার সময় নিজের নাম ও বয়স ভাঁড়িয়েছেন তিনি।
ইউপিএসসি প্রার্থীপদ বাতিল হওয়ায় পূজা আর পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। এবার কেন্দ্রও তাঁর আইএএস আধিকারিকের চাকরি থেকে বরখাস্ত করল। ফলে আর সরকারি আমলা হিসাবে কাজ করার সুযোগ রইল না পূজার কাছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.