সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তারিখ পে তারিখ, তারিখ পে তারিখ! বিচার ব্যবস্থার এই দীর্ঘসূত্রিতায় লাগাম পড়াতে উদ্যোগী কেন্দ্র। ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দোষীদের শেষ আইনি সহায়তা পাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বুধবার দায়ের করা পিটিশনে কেন্দ্র জানিয়েছে, আইনি সহায়তা পাওয়ার অজুহাতে এই আসামিরা আইন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।প্রসঙ্গত, নির্ভয়ার চার ধর্ষকের ফাঁসির দিনক্ষণ পিছিয়ে যাওয়া দেশে ক্ষোভ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের এহেন আবেদন তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কোনও অপরাধীর ফাঁসির সাজা ঘোষণার পরও বেশকিছু আইনি সহায়তা পায়। সে আদালতে কিউরেটিভ আরজি জানাতে পারে। আবার রাষ্ট্রপতির কাছেও প্রাণভিক্ষার আরজি জানাতে পারে। এদিকে এই সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া না মেটা পর্যন্ত, মৃত্যু পরোয়ানাও জারি করা যায় না। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও অপরাধীর বাঁচার সমস্ত আইনি পথ বন্ধ হওয়ার নূন্যতম ১৪দিন পর তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যায়। ফলে সুবিচার পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।
এই প্রক্রিয়া বদল করতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পিটিশনে আবেদন করা হয়েছে যাতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার সর্ব্বোচ্চ সাতদিনের মধ্যে কোনও অপরাধী প্রাণভিক্ষার আরজি জানাতে পারে। এমনকী প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজ হওয়ার সাতদিনের মধ্যে মৃ্ত্যু পরোয়ানা জারি করতে হবে জেল আধিকারিকদেরও। প্রসঙ্গত, একের পর এক আইনি জটিলতায় পিছিয়ে গিয়েছে নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি। য়া নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। সেই ক্ষোভের আঁচ কমাতেই এবার এই পথ নিল কেন্দ্র বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
নির্ভয়ার ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। শুক্রবার ফাঁসির নয়া দিন ঘোষণা করে পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। ওইদিন সকাল ৬টায় তিহার জেলে চারজনকে একসঙ্গে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হবে। এর আগে জানানো হয়েছিল, দোষীদের ফাঁসি হবে ২২ জানুয়ারি। কিন্তু একাধিক আইনি জটিলতায় তা পিছিয়ে যায়। অপরাধী মুকেশ সিং মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন ফাইল করে। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আরজিও জানায়। তার জেরেই পিছিয়ে যায় ফাঁসি কার্যকর করার প্রক্রিয়াটি। যা নিয়ে তীব্র হতাশা প্রকাশ করেছিলেন নির্ভয়ার মা। এমনকী প্রকাশ জাভরেকর এবং আম আদমি পার্টির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা নিয়েও ক্ষুব্ধ তিনি। বিজেপি নেতা জাভড়েকরের অভিযোগ, কেজরি সরকারের গড়িমসিতেই সাজার দিন পিছচ্ছে। একই সুর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির গলায়। যদিও এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে আম আদমি পার্টি। তবে এসবের মধ্যে নির্যাতিতা মেয়ের জন্য এখনও সুবিচার না মেলায় মেজাজ হারিয়েছেন আশাদেবী। এই পরিস্থিতি বদল করতে তৎপর হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.