নব্যেন্দু হাজরা: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojona) ৩৪ হাজার উপভোক্তার নাম প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্র। ফলে এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ এলেও তা আসবে ১১ লক্ষ দু’হাজার মানুষের জন্য।
রাজ্যে আবাস যোজনার আওতায় ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি তৈরির কথা ছিল। কিন্তু, ৩১ মার্চের মধ্যে ১১ লক্ষ ২ হাজার বাড়ির অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তারপর আর নতুন করে অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ তালিকায় নাম থাকা অনেকেই জমিহীন। তাছাড়াও জমির সঠিক কাগজপত্র না থাকা, আধার (Aadhar Card) না থাকা, কর্মসূত্রে এবং চিকিৎসার কারণে ভিনরাজ্যে থাকা-সহ আরও নানা কারণে এই ৩৪ হাজার নামের অনুমোদন বাকি থেকে গিয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, এই অনুমোদন আর সম্ভব নয়। কারণ কেন্দ্রের যে আবাস প্রকল্পের ওয়েবসাইট ছিল তাতে আর নাম তোলা যাবে না। এরাজ্যে আবাস যোজনায় ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮ টি বাড়ি তৈরির কথা। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ৩১ শে জানুয়ারির মধ্যে বাড়িগুলোর অনুমোদনের কাজ শেষ করার কথা ছিল। সেই সময়সীমা পরে আবার বাড়ানো হয়। তাতেও এই ৩৪ হাজার বাকি রয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ৩৪ হাজারের অনুমোদন আর কোনওভাবেই সম্ভব নয়। ফলে এরাজ্যে আবাসের টাকা অদূর ভবিষ্যতে পেলেও তা পাবেন এই ১১ লক্ষ ০২ হাজার উপভোক্তা।
তবে আপাতত সবই রয়ে গিয়েছে ফাইলের দড়িতে আটকে। কারণ আবাস যোজনায় রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। বকেয়া আদায়ে রাজ্যের তরফে দিল্লিতে দরবার করলেও তাতে লাভ হয়নি। প্রাপ্য থেকে রাজ্যকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ঘর থেকে বঞ্চিত হয়েছেন গরীব মানুষ। আবাসে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বারবার কেন্দ্রীয় দল রাজ্য ঘুরে গেলেও বড় কোনও গরমিল পায়নি। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও করেছেন রাজ্যের প্রতিনিধিরা। কিন্তু তাতেও জট কাটেনি। নবান্নের (Nabanna) কর্তারা জানাচ্ছেন, দিল্লির পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকরা তাঁদের হাবেভাবে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে সবুজ সংকেত না আসার কারণেই আবাস এবং ১০০ দিনের প্রকল্পের কোনও টাকা দেওয়া যাচ্ছে না। বরং অনুমোদনের বিষয়ে অন্য অনেক রাজ্যের থেকে বাংলায় কাজ ভালো হয়েছে প্রশংসাও কুড়িয়েছে রাজ্য। কিন্তু প্রশংসা শুধু মুখেই থেকে গিয়েছে। নবান্নের আধিকারিকদের কথায়, আবাস এবং ১০০ দিনের প্রকল্পের প্রাপ্য এখন ঝুলে রয়েছে রাজনীতির জাঁতাকলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.