সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Covid-19) পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী সপ্তাহ থেকে প্রতি বাড়িতেই রেশন পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল দিল্লি সরকার (Delhi Govt.)। কিন্তু কেন্দ্রের সহায়তা মিলল না। কেন্দ্র নাকি দিল্লি প্রশাসনের এই পরিকল্পনা আটকে দিয়েছে। শনিবার এমনই অভিযোগ জানাল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। আপের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে টুইটও করা হয়েছে।
গতবছর ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ক্ষমতায় এলে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে। সেইমতো গত জুলাই মাসেই দিল্লি সরকার বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সেই প্রকল্পেই বাধা দিচ্ছে মোদি সরকার এমনই অভিযোগ আপের।
অরবিন্দ সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “দুয়ারে রেশন প্রকল্প আগামী ১-২ দিনের মধ্যেই শুরু করতে চলেছিল দিল্লি। এর ফলে উপকৃত হতেন ৭২ লক্ষ গরিব মানুষ। এমনকী কেন্দ্রের পরামর্শ মেনে বিধানসভাতে প্রকল্পের নাম বদলের প্রস্তাও পাশ করানো হয়। কিন্তু দিল্লির উপ-রাজ্যপাল তাও এই ফাইলটি পাশ করেননি। এর জন্য দুটি কারণ জানিয়েছেন তিনি। প্রথমত, এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র ছাড়পত্র দেয়নি। দ্বিতীয়ত, আদালতে চলতে থাকা একটি মামলা। আর তাই আইন অনুযায়ী, দুয়ারে রেশনের এই প্রকল্প চালু করতে এখনই অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।” এরপর আপের তরফ থেকে টুইটে বলা হয়, “মার্চে তামিলনাড়ুতে ভোটপ্রচারে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। কিন্তু আজ দিল্লিতে এই পরিষেবা চালু করতে বাধা দিল তাঁরাই। বিজেপিকে আমাদের প্রশ্ন, আপনারা দিল্লিকে ঘৃণা করেন কেন?”
In March, BJP promised Home Delivery of Ration in Tamil Nadu.
Today, BJP has stopped Home Delivery of Ration in Delhi.
Dear @BJP4India, we once again ask you – Why do you hate Delhi?#ModiProtectsRationMafia https://t.co/WVYu7IyKVh
— AAP (@AamAadmiParty) June 5, 2021
এদিকে, দীর্ঘদিন লকডাউনের পর ফের সচল হওয়ার পথে রাজধানী দিল্লি। ইতিমধ্যে সেখানে কমেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার দিল্লিতে ৫২৩ জন কোভিডে আক্রান্ত হন। মারা যান ৫০ জন। শহরে পজিটিভিটি রেট এখন ০.৬৮ শতাংশ। গত ১৯ এপ্রিল রাজধানীতে লকডাউন শুরু হয়। গত সপ্তাহে দিল্লি সরকার ম্যানুফ্যাকচারিং ও কনস্ট্রাকশন সেক্টরকে কাজ শুরু করার অনুমতি দেয়। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘোষণা করেছেন, শপিং মল ও বাজার খোলা হবে জোড়-বিজোড় তারিখের ভিত্তিতে। অর্থাত্ শহরের অর্ধেক বাজার ও শপিং মল একদিন খুলবে, পরদিন খুলবে বাকি অর্ধেক। প্রতিটি দোকান খোলা থাকবে দৈনিক সকাল ১০ টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত।
এছাড়া চলবে দিল্লি মেট্রোও। প্রতিটি কামরায় যতজনের বসার আসন আছে, তার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেওয়া হবে। খুলে যাবে বেসরকারি অফিসও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি অফিসগুলি ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারবে। তবে যথাসম্ভব ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু রাখতে হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় ক্যাটেগরি ‘এ’ কর্মীরা প্রতিদিনই অফিসে আসতে পারবেন। কিন্তু তার চেয়ে নিচু স্তরের কর্মীরা অফিসে আসবেন অর্ধেক দিন। তবে জিম, সুইমিং পুল, ওয়াটার পার্ক, সেলুন, শিক্ষায়তন, কোচিং ইনস্টিটিউট, সিনেমা হল এবং সাপ্তাহিক বাজার আপাতত বন্ধই থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, পরিস্থিতির উন্নতি হলে আরও ছাড় দেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.