Advertisement
Advertisement

Breaking News

Manipur

ভারত ভাঙার ছক! মণিপুরের ৯টি মেতেই জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা কেন্দ্রের

হিংসাদীর্ণ মণিপুরে থেকে থেকেই জ্বলে উঠছে সংঘাতের আগুন।

Centre bans 9 Meitei extremist groups in Manipur। Sangbad Pratidin
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:November 13, 2023 9:17 pm
  • Updated:November 13, 2023 9:17 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিংসাদীর্ণ মণিপুরে থেকে থেকেই জ্বলে উঠছে সংঘাতের আগুন। ঝরছে রক্ত। যার নেপথ্যে কুকি-মেতেই গোষ্ঠী সংঘর্ষ। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে  হিংসার আগুনে ঘি ঢালছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। ভারত ভাঙার ছক কষছে তারা বলে একাধিক রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ! এই পরিস্থিতিতে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে শান্তি ফেরাতে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। সেরাজ্যে ৯টি মেতেই জঙ্গি দলকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে নোটিস জারি করে জানানো হয়েছে, “ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে এই দলগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। এরা সন্ত্রাসবাদ, হিংসা, বিচ্ছিন্নতাবাদ ছড়িয়ে দিতে কাজ করে। ” এই দলগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, এই সংগঠনগুলো ভারত থেকে মণিপুরকে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন দেশ গড়ার লক্ষ্যে সশস্ত্র লড়াই চালায় ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে জড়ানোর চেষ্টা করে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বাঙালির রক্ত কি শুকিয়ে গিয়েছে?’, নজরুলগীতি বিতর্কে হুঙ্কার সাংসদ সুখেন্দুশেখরের]

জানা গিয়েছে, ইউএপিএ ধারায় পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) ও এর রাজনৈতিক শাখা, রেভেল্যুশনারি পিপলস ফ্রন্ট (আরপিএফ), মণিপুর পিপলস আর্মি (এমপিএ), ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (ইউএনএলএফ), দ্য রেড আর্মি-সহ আরও ৪টি মেতেই চরমপন্থী দলকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত ৭ মাস ধরে মেতেই-কুকি জাতি সংঘর্ষে পুড়ছে মণিপুর (Manipur)। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও ধিকি ধিকি জ্বলছে হিংসার আগুন। এই গোষ্ঠী সংঘর্ষে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের জন্য নাকি মেলেনি কবর দেওয়ার স্থানও। দেহ সৎকারেও প্রকট হয়েছে সাম্প্রদায়িকতার বিষ। মাস তিনেক ধরে সুরাহা হয়নি এই অমানবিক পরিস্থিতির। এখনও সেখানে ঝরছে রক্ত।

পরিসংখ্যান বলছে, মণিপুরে এপর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২০০ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা আসরে নামলেও অশান্তি অব্যাহত। কয়েকদিন আগেই ইম্ফলে মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের বাংলোর কাছেই থানায় হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুটের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। তাদের রুখতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। 

[আরও পড়ুন: মন্দির উপচে পড়ছে সোনা-হিরে-জহরতে, ভোটের মধ্যপ্রদেশে প্রার্থীদের ‘প্রণামী’ও নজরে

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement