সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদের গণধর্ষণ-খুনে ৪ অভিযুক্তকে এনকাউন্টারে খতম করেছে পুলিশ। শেষ হয়েছে একটা অধ্যায়। ধর্ষকদের শাস্তিতে দিশা দেখিয়েছে এই এনকাউন্টার। এরপরই এ ধরনের অপরাধীদের জন্য কোনও সহানুভূতি যাতে দেখানো না হয়, রাষ্ট্রপতির কাছে সেই আবেদন জানাল কেন্দ্র। বলা হল, নির্ভয়াকাণ্ডে যে অপরাধী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছে,তা যেন খারিজ করে দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি নিজেও মনে করছেন, অপরাধীদের প্রাণভিক্ষার আরজি পুনর্বিবেচনা করাই উচিত নয়।
ধীর গতিসম্পন্ন বিচারব্যবস্থার উপর ভরসা রাখতে রাখতে বহু জ্বলন্ত অপরাধে প্রতিবাদের দীপটা আস্তে আস্তে নিভে আসতে থাকে। সেখানে দাঁড়িয়ে আইনের ধারা অনুযায়ী বিচারের আগেই হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুনের মতো জঘন্য অপরাধে অভিযুক্তদের খতম করেছে পুলিশ। এও একপ্রকার প্রাণদণ্ডই। শুধু আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়াই এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। হায়দরাবাদ পুলিশের এই পদক্ষেপ নতুন করে দিশা দেখিয়েছে।
এই পদক্ষেপকে হাতিয়ার করেই রাষ্ট্রপতির কাছে কেন্দ্রের আবেদন, এমন নৃশংস অপরাধীদের জন্য যেন কোনও সহানুভূতি দেখানো না হয়। এই আবেদনের নেপথ্যে রয়েছে নির্ভয়াকাণ্ডের অপরাধীদের প্রাণভিক্ষার আরজি। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধী বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আরজি জানিয়েছে। বাকি দু’জন মুকেশ এবং অক্ষয় ঠাকুর তেমন কোনও আবেদন করেনি। চতুর্থ অপরাধী রাম সিং তিহাড় জেলেই আত্মহত্যা করেছিল। তাই এই মুহূর্তে বিনয় শর্মার আবেদনটিই মাথাব্যথার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্র সেই আবেদন নাকচ করার আরজি জানিয়েছে রামনাথ কোবিন্দের কাছে।
রাষ্ট্রপতি নিজেও এ ব্যাপারে বেশ কড়া প্রতিক্রিয়াই জানিয়েছেন। রাজস্থানের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘নারী নিরাপত্তা একটি গুরুতর বিষয়। তাঁদের উপর যেভাবে নৃশংস অত্যাচার চলছে, তা দেশের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। পকসো আইনে যারা ধর্ষণে অপরাধী প্রমাণিত হবে, তাদের প্রাণভিক্ষার আরজি কোনওভাবেই গ্রহণীয় নয়। এ বিষয়ে সংসদেও প্রয়োজনে আইনটি পুনর্বিবেচনা করে দেখতে হবে।’ অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা আর কোনওভাবেই যাতে প্রাণে বেঁচে ফের একই অপরাধ ঘটানোর সুযোগ না পায়, সেটি নিশ্চিত করতে চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.