সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বদলে গেল লাদাখের মানচিত্র। আরও ৫ জেলায় ভাগ করা হল কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল লাদাখকে। সব মিলিয়ে মোট ৭টি জেলায় বিভাজিত হল লাদাখ ভূখণ্ড। সোমবার সোশাল মিডিয়ায় এই জেলা ভাগের কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দাবি করা হয়েছে, লাদাখের বাসিন্দাদের কাছে উন্নত পরিষেবা পৌঁছে দিতেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রের।
২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সঙ্গেই লাদাখকে আলাদা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়। সেই সময় থেকে মোট দুটি জেলা ছিল লাদাখে। একটি কারগিল ও অন্যটি লেহ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এর সঙ্গেই এবার যুক্ত হতে চলেছে, জানস্কার, দ্রাস, শাম, নুবরা এবং চাংথাং। এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে এদিন সোশাল মিডিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লেখেন, ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ লাদাখ গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই লক্ষ্য পুরণেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আরও ৫টি জেলায় লাদাখকে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নয়া ৫ জেলা হল জানস্কার, দ্রাস, শাম, নুবরা এবং চাংথাং।’
একইসঙ্গে অমিত শাহ জানান, ‘লাদাখের মানুষের কাছে অসংখ্য সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সিদ্ধান্তের জেরে লাদাখের মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা আরও ভালভাবে ও আরও দ্রুত পৌঁছে যাবে।’ উল্লেখ্য, লাদাখ পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর বর্তমানে তা সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরিচালনাধীন। এই লাদাখেই এবার বড় পদক্ষেপ নিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরেই পূর্ণ রাজ্যের দাবিতে সরব লাদাখবাসী। দাবি পূরণের লক্ষ্যে দফায় দফায় আন্দোলনের মুখে পড়তে হয়েছে সরকারকে। চলতি বছরের মার্চ মাসে পূর্ণ রাজ্যের স্বীকৃতি-সহ একগুচ্ছ দাবিতে অনশনে বসেছিলেন সোনম ওয়াংচুক। সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, প্রাকৃতিক সম্পদকে রক্ষা করার যে আশ্বাস সরকার ২০১৯-২০ সালে দিয়েছিল, তা রাখা হয়নি। পাশাপাশি লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের স্বীকৃতিও দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ‘সরকার বলে ভারত গণতন্ত্রের জননী। অথচ সেই ভারতেই লাদাখবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। নয়াদিল্লি থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে আমাদের লাদাখকে। চার বছর পরও সরকার কোনও প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। এটা লাদাখবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’ এহেন টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝেই এবার একাধিক জেলায় ভাগ করা হল লাদাখকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.