সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ২২ পয়সা বরাদ্দ বাড়িয়ে মিড-ডে মিলে দুগ্ধজাত খাবার দেওয়ার প্রস্তাব দিল কেন্দ্র৷ প্রস্তাব দিয়ে ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক৷ কিন্তু, নামমাত্র বরাদ্দ বাড়িয়ে কীভাবে পড়ুয়াদের পাতে দুগ্ধজাত খাবার সরবরাহ করা যায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শিক্ষক মহলে৷
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে সমস্ত রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দপ্তরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মিড-ডে মিলে দুগ্ধজাত খাবার সরবরাহ করতে প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ হয়েছে ৪ টাকা ৩৫ পয়সা ও উচ্চ প্রাথমিকে ৬ টাকা ৫১ পয়সা বরাদ্দ করা হয়েছে৷ বিজ্ঞপ্তি জারির আগে তা ছিল প্রাথমিকে ৪ টাকা ১৩ পয়সা ও উচ্চ প্রাথমিকে ৬ টাকা ১৮ পয়সা৷ অর্থাৎ উভয় ক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছে যথাক্রমে ২২ ও ৩৩ পয়সার কাছাকাছি৷ নয়া বরাদ্দ কার্যকর কার্যকর হওয়ার কথা চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে৷
[ভোটের খরচে নগদ অনুদানের অঙ্ক কমাল কমিশন]
কিন্তু, এত ২২ ও ৩৩ পয়সা বাড়িয়ে আদৌ পড়ুয়াদের পাতে দুগ্ধজাত খাবার কীভাবে তুলে দেওয়া যায়, এই নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষা দপ্তরের কর্তারা৷ অগ্নিমূল্য বাজারে লিটার পিছু দুধের দাম কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ টাকার কাছাকাছি৷ যদি কোনও স্কুলে মিড-ডে মিলের আওতায় ১০০ জন পড়ুয়া থাকে, তাহলে তাদের পর্যন্ত জোগান দিতে গেলে অন্তত ১০ লিটার দুধের প্রয়োজন৷ অর্থাৎ ৫০০ টাকা৷ মাথাপিছু খরচ পাঁচ টাকা৷ কিন্তু, কেন্দ্রের তরফে প্রাথমিকে ২২ ও উচ্চ প্রাথমিকে বাড়ানো হয়েছে মাত্র ৩৩ পয়সা৷
[মন্দির নয়, বিকাশেই ভরসা! মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ইস্তেহারে একাধিক চমক]
ফলে, বিজ্ঞপ্তি মেনে চলতে গেলে স্কুলকে ভরতুকি দিতে হবে প্রায় সাড়ে চার টাকার কাছাকাছি৷ শিক্ষক মহলের একাংশের মতে, অন্যান্য প্রকল্পে কেন্দ্র ঢালাও বরাদ্দ বাড়াচ্ছে৷ তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে মূর্তি নির্মাণ করেছে কেন্দ্র৷ কিন্তু খুদে পড়ুয়াদের জন্য মিড-ডে মিল প্রকল্পে নামমাত্র বরাদ্দ কোনওভাবে কাম্য নয়৷ এই খাতে অন্তত ২৫-৩০ শতাংশ বাড়ানো উচিত ছিল সরকারের৷ তা না হলে কাগজে-কলমেই থেকে যাবে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.