Advertisement
Advertisement
Same-sex marriage

ভারতীয় সংস্কৃতির বিরোধী! সমলিঙ্গের বিয়েতে আপত্তি কেন্দ্র সরকারের

দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে বিয়ে এখনও পবিত্র সম্পর্ক, আদালতে জানায় কেন্দ্র।

Central government opposes same-sex marriage in Delhi High Court | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:February 26, 2021 9:51 am
  • Updated:February 26, 2021 5:08 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমলিঙ্গে বিবাহের বিপক্ষেই সওয়াল করল কেন্দ্র। দিল্লি হাই কোর্টে (Delhi High Court) একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, এই ধরনের বিয়ে ভারতীয় পরিবার পরিকাঠামোর পরিপন্থী।

কয়েক বছর আগেই ৩৭৭ ধারায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, সমলিঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক দুই ব‌্যক্তির সম্মতিতে তাঁদের মধ্যে যে সম্পর্ক তৈরি হয়, তাকে আর অপরাধ গণ্য করা যাবে না। কিন্তু তারপরও তাঁদের মধ্যে বিয়ের কোনও নির্দেশ বা আইন এদেশে সিদ্ধ হয়নি। সেই বিষয়ে একাধিক আবেদন জমা পড়ে দিল্লি হাই কোর্টে। সেই শুনানিতেই এদিন কেন্দ্রের তরফে আদালতে জানানো হয়, ভারতীয় সমাজব‌্যবস্থায় দুই ব‌্যক্তির মধ্যে বিবাহ শুধুই পুরুষ ও নারীর শারীরিক সম্পর্ক নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান। সমলিঙ্গের দু’জন মানুষ ভালবেসে একসঙ্গে বাস করলেও ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় ‘স্বামী-স্ত্রী-সন্তান’-এর যে পারিবারিক কাঠামো রয়েছে কখনও তার সমতুল্য হতে পারে না। দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে বিয়ে এখনও পবিত্র একটি সম্পর্ক বলে মনে করা হয় বলেও আদালতে জানায় কেন্দ্র।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী ভারত-পাকিস্তান, নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাবর্ষণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দুই দেশের]

এরপরই আবার উল্লেখ করা হয়, ভারতীয় সমাজে বিয়ে বহু প্রাচীন একটি রীতি, সংস্কৃতি, অভ‌্যাস, সামাজিক মূল‌্যবোধ। সুপ্রিম কোর্ট ৩৭৭ ধারায় সমলিঙ্গের মানুষের মধ্যের সম্পর্ককে ‘অপরাধ’ না বললেও একই লিঙ্গের মানুষের মধ্যে বিয়েতে সম্মতি দেয়নি। দেশের সামাজিক কাঠামোর ক্ষেত্রে তা এখনও বৈপরীত‌্যমূল‌ক ভাবধারা বহন করে। কেন্দ্রের বক্তব‌্য, এখনও এদেশের বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানকে দেশে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে আলাদা চোখে দেখা হয়, আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়।

পেশায় মনোবিদ ডা. কবিতা অরোরা এবং থেরাপিস্ট অঙ্কিতা খান্না, আদালতের কাছে নিজের পছন্দের সঙ্গী বেছে তাঁর সঙ্গে থাকার আরজি জানিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। দিল্লির কালকাজির বিবাহনিবন্ধীকরণ অফিস তাঁদের বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে করার অনুমতি না দেওয়ার পরই আদালতের দ্বারস্থ হন। আরও কিছু আরজি জমা পড়ে একই বিষয়ে। সেই মামলার শুনানিতেই এই বক্তব‌্য জানিয়েছে কেন্দ্র। ২০ এপ্রিল মামলার পরবর্তী দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক ভরতি গাড়ি, উদ্ধার ২০টি জিলেটিন স্টিক ও বেনামি চিঠি!]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement