Advertisement
Advertisement

ভোটে সন্ত্রাস রুখতে পুলিশের ভূমিকা নিতে পারেন আপনিও

কী করে জানেন?

Central Election Commision going to lounch a new app
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 3, 2018 10:42 am
  • Updated:June 3, 2018 10:42 am

স্টাফ রিপোর্টার: ‘জনতাই এবার পুলিশ’! ভোটে অশান্তি রুখতে নির্বাচন কমিশনের নয়া দাওয়াই এমনটাই। নির্বাচনী সন্ত্রাস রুখতে দেশজুড়ে আমজনতাকে নজরদারির ভূমিকায় নামাতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী এজন্য দরকার শুধু একটি স্মার্টফোন। হাতে সেই স্মার্ট মোবাইল ফোন থাকলে যে কেউ হতে পারবেন ‘ভোট-পুলিশ’। নির্বাচনী অশান্তির ছবি মোবাইলে তুলে তা পোস্ট করলেই তুরন্ত মিলবে সমাধান। যাবতীয় ব্যাপারটা হবে একটা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই জনগণের জন্য এই অ্যাপ চালু করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। শনিবার শহরে বণিকসভা এমসিসিআই-এর এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা জানিয়েছেন দেশের নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওমপ্রকাশ রাওয়াত।

[পাক সেনার গুলিতে সীমান্তে শহিদ দুই জওয়ান, গুরুতর জখম তিন নাগরিক]

Advertisement

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আসীন হওয়ার পর এটাই ছিল ১৯৭৭ সালের মধ্যপ্রদেশ ক্যাডারের আইএএস অফিসার ওমপ্রকাশ রাওয়াতের প্রথম কলকাতা সফর। সফরে বণিকসভার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি নিউ টাউনের এক পাঁচতারা হোটেলে বৈঠক সেরেছেন তিনি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক ও অন্য কর্তাদের সঙ্গে। বণিকসভার অনুষ্ঠানে নির্বাচনে অশান্তি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে কমিশনার বলেন, “বিষয়টি সমাধানের জন্য শীঘ্রই একটি অ্যাপ আনছে কমিশন। এই অ্যাপের মাধ্যমে জনগণই পুলিশের ভূমিকা নিতে পারবেন। ভোটকে কেন্দ্র করে যে কোনও ধরনের অশান্তির ছবি, ভিডিও আপলোড করা যাবে এই অ্যাপে। প্রমাণ-সহ সেই অভিযোগ আপলোড করার সঙ্গে সঙ্গে তা পৌঁছে যাবে কমিশনের দপ্তরে। ফলে অভিযোগ দেখে চটজলদি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি জানান, এই বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে মনোনয়ন জমা, বুথ জ্যাম, ছাপ্পা, ভোটে টাকা বিলি-সহ যে কোনও অভিযোগ জানানো যাবে। প্রমাণ-সহ জানানোর ফলে সেই অভিযোগকে কোনওভাবেই ভিত্তিহীন বলে দাবি করতে পারবেন না সংশ্লিষ্ট এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা।

[মুম্বইয়ে প্রাক-বর্ষায় বিপর্যস্ত জনজীবন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত দুই শিশু-সহ ৩]

সম্প্রতি রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে একাধিক অশান্তির অভিযোগে সোচ্চার হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। এক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সেই প্রসঙ্গে এদিন অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি নির্বাচন কমিশনার। তাঁর যুক্তি, “পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। দু’টি সাংবিধানিক সংস্থা কখনওই একে অপরের সম্বন্ধে মন্তব্য করে না।” তবে এ সময় তাৎপর্যপূর্ণভাবে টেনেছেন মহেশতলা উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ। বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর এরাজ্যে মহেশতলা কেন্দ্রে নির্বাচন হয়েছে। সেখানে কমিশন যে পদক্ষেপ নিয়েছিল তাতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা গিয়েছে।”

লোকসভা ভোট এগিয়ে আনার প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খুলেছেন কমিশনার। কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন এবং বেশ কয়েকটি রাজ্যে উপনির্বাচনের পর দেশের রাজনৈতিক মহলের একাংশে লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আনার জল্পনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এবিষয়ে যাবতীয় জল্পনা কার্যত খারিজ করে দিয়েছেন রাওয়াত। তিনি জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এখনও এমন কোনও প্রস্তাব আসেনি। এ প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা আইন অনুযায়ী চলি। লোকসভা এবং বিধানসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাস আগে ভোট করার আইন নেই। আমরা সেই আইন মেনে চলব। সংবিধান, আইন যেভাবে চাইবে আমরা সেভাবেই চলব।” সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইভিএম কারচুপি নিয়ে সরব হয়েছে। ফের ব্যালটে ভোট করার দাবি উঠছে। এদিন সেসব অভিযোগ এক কথায় খারিজ করে দিয়েছেন রাওয়াত। তিনি বলেন, “নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর অজুহাত হিসাবে ইভিএমে কারচুপির তত্ত্বের কথা খাড়া করেন অনেকে।” এদিন বণিক সভার অনুষ্ঠান শেষে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও তাঁর দপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে নিউটাউনের এক পাঁচতারা হোটেলে বৈঠক করেন ওমপ্রকাশ রাওয়াত। বৈঠক শেষে নির্বাচনে অশান্তি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফের তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর বিষয়ে যথেষ্ট আত্মপ্রত্যয় আমাদের রয়েছে।”

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement