সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা রুখতে দেশে প্রয়োজন র্যাপিড ও র্যান্ডাম (Rapid and Random Test)পরীক্ষার। তাতেই চিহ্নিত করা যাবে করোনা আক্রান্তদের। এই কথা বারংবার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তবে সেই পদক্ষেপ প্রথম নিজের রাজ্যে চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Amarindar Sing)। আজ থেকে মোহালি ও জলন্ধরে শুরু হল করোনার র্যাপিড ও র্যান্ডাম পরীক্ষা।
করোনা রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। প্রথম থেকেই তাঁর দাবি ছিল, বেশি করে করোনার পরীক্ষা করাতে হবে। এক একটি এলাকা ধরে যত বেশি কোভিড ১৯ (COVID-19) পরীক্ষা হবে তত বেশি আক্রান্তের সংখ্যা জানা যাবে, ও তাদের চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা যাবে। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কাও কমবে বলেই মত সোনিয়া পুত্রের। তবে সরকারের তরফ থেকে প্রতিটি রাজ্যে পৌঁছচ্ছে না যথেষ্ট পরিমাণে টেস্ট কিট। আর তাতেই আটকে থাকছে র্যাপিড ও র্যান্ডাম টেস্ট করার প্রক্রিয়া। এদিন ফের রাহুল গান্ধী টুইট করে আক্রমণ করেন কেন্দ্রকে, “কেন্দ্রীয় সরকার অযথা করোনার টেস্ট কিট কিনতে বিলম্ব করছে। এখনও পর্যন্ত দেশে প্রতি লক্ষ ভারতীয়ের মধ্যে মাত্র ১৪৯ জনের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। যা অন্যান্য দেশের তুলনায় যথেষ্ট কম। আর সেটাই উদ্বেগের।”
India delayed the purchase of testing kits & is now critically short of them.
With just 149 tests per million Indians, we are now in the company of Laos (157), Niger (182) & Honduras (162).
Mass testing is the key to fighting the virus. At present we are nowhere in the game.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) April 14, 2020
তবে দেশের সকল রাজ্যগুলির মধ্যে র্যাপিড ও র্যান্ডাম টেস্টের দিক থেকে এগিয়ে কেরল। কেরলের রাস্তায় তৈরি করা হচ্ছে করোনা কিসস্ক। এছাড়াও র্যাপিড ও র্যান্ডাম টেস্টের মাধ্যমে কেরলে সংক্রমিতদের খোঁজার চেষ্টা চলছে। ফলে দেশে প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান কেরলে পাওয়া গেলেও দ্রুত এই মারণ ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করে সুস্থ হচ্ছেন কেরলের বাসিন্দারাই।
রাহুল গান্ধীর দেখানো পথ অনুসরণ করে আজ থেকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং শুরু করলেন র্যাপিড ও র্যান্ডাম টেস্টের পদ্ধতি। পাঞ্জাবের মোহালি ও জলন্ধরে শুরু হয়েছে এই পরীক্ষা। এরপর বাকি জেলাগুলিতেও এই পদ্ধতি চালু করা হবে। এই দুই জেলার ১৭ টি হটস্পটকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেখানেই এই র্যাপিড ও র্যান্ডাম টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এস বলবির সিং সিধু এই উদ্যোগ নেন। প্রায় ৫০০ টেস্ট কিটের মাধ্যমে এই কাজ শুরু হয়েছে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে পাঞ্জাব ও কেরল সাফল্যের পথে এগিয়ে গেলে বাকি রাজ্যগুলিও সেই পথই অনুসরণ করবে বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.