সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জামাত-ই-ইসলামি জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র৷ দেশবিরোধী কাজে যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলায়, এই সংগঠনকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ সূত্রের খবর কেবল জামাত নয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাডারে রয়েছে হুরিয়ত কনফারেন্সের মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনও৷ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, একাধিক জঙ্গিমূলক ও দেশবিরোধী কাজের সঙ্গে যোগ রয়েছে জামাতের৷ এবং এই জামাতই তৃণমূল স্তরে হুরিয়তের হয়ে কাজ করছে৷ পাকিস্তান থেকে আগত অর্থ কাশ্মীরে আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে, ধর্মের নামে মগজধোলাই৷ হুরিয়তকে সামনে রেখে সবটাই করত এই জামাত৷
[পাঞ্জাবে বিএসএফের জালে পাক গুপ্তচর, উদ্ধার গোপন নথি ]
গত মঙ্গলবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জইশের তিনটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা৷ যা নিয়ে তুমুল চাপে পড়েছে পাকিস্তান৷ জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতির মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অধিকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সূত্রের খবর, উক্ত বৈঠকেই জামাতের বিরুদ্ধে একাধিক জঙ্গিমূলক কাজে যুক্ত থাকার প্রমাণ পেশ করেন তদন্তকারীরা৷ তাঁরা জানতে পারেন, গোয়েন্দা নজর এড়িয়ে দিনের পর দিন জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে এই সংগঠন৷ এরপরই সর্ব সম্মতিক্রমে জামাতকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব পাশ হয়৷ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে নোটিস দিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানান হয়৷ পুলওয়ামা কাণ্ডের পর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র৷ পাঁচ শীর্ষ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে৷ এবং গত কয়েকদিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী এনআইএ৷ সূত্রের খবর, তল্লাশিতে হুরিয়ত কনফারেন্স নেতা মিরওয়াইজ উমর ফারুকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে হটলাইন পরিষেবার সরঞ্জাম৷ যার মাধ্যমে পাকিস্তানে যোগাযোগ করা হত৷ এছাড়া তদন্তকারীরা হাতে পেয়েছেন বেশ কিছু নথি৷ যাতে ভারত বিরোধী বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে৷যদিও সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখযমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি৷
[সীমান্তে ফের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন পাক সেনার, উপত্যকায় খতম ২ জঙ্গি]
জামাত-ই-ইসলামি হিন্দের শাখা সংগঠন হিসাবে ১৯৪৫-এ আত্মপ্রকাশ করে জামাত-ই-ইসলামি জম্মু-কাশ্মীর৷ কিন্তু মতাদর্শগত কারণে ১৯৫৩-তে জামাত-ই-ইসলামি হিন্দ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এরা৷ এর আগে ১৯৯০-তেও একবার পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এই সংগঠনকে৷ ১৯৯৫-তে নির্দেশ উঠে যায়৷ এবং তারপর থেকে উপত্যকায় তেমন একটা মাথাচাড়া দিতে দেখা যায়নি এই সংগঠনকে৷ সামাজিক-ধর্মীয় সংগঠন হিসাবে কাজ করতে থাকে এরা৷ শিক্ষা ও ইসলামের প্রসারে বিশেষ নজর দেয় সদস্যরা৷ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের আড়ালে আসলে সন্ত্রাসবাদে সাহায্য করার কাজ করত জামাত৷ পাকিস্তান থেকে জঙ্গি সংগঠনগুলি যে টাকা পাঠাত, জামাত ও হুরিয়তের হাত দিয়েই তা পৌঁছে যেত, কাশ্মীরে আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিদের কাছে৷
Democracy is a battle of ideas , crackdown followed by banning of Jammat Islami (jk) is condemnable , another example of high handedness and muscular approach of GOI to deal with political issue of J&k .
— Mehbooba Mufti (@MehboobaMufti) March 1, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.