Advertisement
Advertisement

Breaking News

CDS Bipin Rawat

CDS Bipin Rawat: শৈশবের স্মৃতির টানেই বারবার ছুটে যেতেন গ্রামে, রাওয়াতের প্রয়াণে শোকে পাথর সায়না

সায়না গ্রামে একটি বাড়ি তৈরি করার ইচ্ছে ছিল বিপিন রাওয়াতের।

CDS Bipin Rawat: Native village of Bipin Rawat mourns after he passed away | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 9, 2021 2:23 pm
  • Updated:December 9, 2021 2:51 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত সেনা সর্বাধিনায়ক (CDS) বিপিন রাওয়াতের জন্য শোকস্তব্ধ তাঁর ফেলে আসা পাহাড়ি গ্রাম। নিজেদের ভূমিপুত্রের জন্য বরাবর গর্ব করত ছোট্ট গ্রামটা। গর্ব তো হবেই। উত্তরাখণ্ডের পাহাড় ঘেরা সায়না গ্রামে সকলের চেনা ছেলেটা একদিন হয়ে উঠেছিল দেশের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ। তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) কুন্নুরে কপ্টার দুর্ঘটনায় সস্ত্রীক প্রয়াত বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat)। আর তাঁর ফেলে আসা ছোটবেলার গ্রাম আজও পথ চেয়ে আছে, কবে ফিরবেন তিনি? আদৌ কি ফিরবেন?

Bipin Rawat
গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াত।

প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়াতের কাকা ভরত সিং রাওয়াত ফোনে জানিয়েছেন, “আমি বিশ্বাস করতে পারছি না কী করে এমন ঘটনা ঘটল? অনেকেই জানে না যে বিপিন এই গ্রামেই বাকি জীবনটা থিতু হওয়ার কথা ভাবত। এমনকী বাড়ি করতে জমিও দেখেছিল।”

Advertisement

[আরও পডুন: CDS Bipin Rawat: অভিশপ্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার, ভাইরাল দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তের ভিডিও]

প্রসঙ্গত, ভরত সিং রাওয়াত ভারতীয় সেনায় হাবিলদার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, “দেশের বাড়ির প্রতি ভীষণ টান ছিল বিপিনের। কোনও দিন ভোলেনি। ২০১৮ সালে গ্রামে এসে বলেছিল এখানে একটা বাড়ি বানাবে। আমি বলি, আমাদের তো অনেক জমি আছে। কোথায় বাড়ি বানাবে, বানাও না। সেই ছেলে এভাবে কী করে সব ছেড়ে চলে গেল!” রাওয়াতের কাকা আরও বলছেন, “এই তো মাসখানেক আগের কথা। ফোন করে বলল, গ্রামের অমুক রাস্তাটা কি এখনও একই রকম আছে? ওর মনে আছে যে পাকা রাস্তা থেকে এখনও এক কিমি হেঁটে তবে গ্রামে পৌঁছনো যায়। কিছুই ভোলেনি। ও সেই পথে আর হাঁটবে না, ভাবতেই পারছি না।”

[আরও পডুন: বিপিন রাওয়াতের কপ্টার দুর্ঘটনায় সংসদে বিবৃতি পেশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের]

এদিকে ভরত সিংয়ের পুত্র রবীন্দ্র সিং বলেন, “জীবনে যতই সফল হয়ে থাকুন না কেন, তিনি আমাদের ঘরের মানুষই ছিলেন। ওঁর সাফল্যে আমরা গ্রামবাসীরা সবাই গর্বিত ছিলাম। দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ হয়েও  শিকড় ভোলেননি।  উনিই আমাদের অনুপ্রেরণা। গ্রামের যুবকরা অনেকেই ওঁকে দেখেই আর্মিতে যেতে উৎসাহ পেয়েছে। সেই তিনিই চলে গেলেন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement