Advertisement
Advertisement

চিটফান্ডের তদন্তে শুধু সিবিআই, অর্ডিন্যান্সের পথে হাঁটল কেন্দ্র

ক্ষুব্ধ রাজ্য।

CBI to probe ponzi scams, Centre mulls ordinance

ক্ষুব্ধ রাজ্য।

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:February 26, 2019 10:54 am
  • Updated:February 26, 2019 10:54 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন চারেক আগেই “দ্যা ব্যানিং অফ আনরেগুলেটেড ডিপোজিট স্কিমস বিল ২০১৯” বা চিট ফান্ড বিরোধী নয়া বিল নিয়ে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সভায় বিলটি পাস না হওয়ায় অর্ডিন্যান্সের পথে হেঁটেছে কেন্দ্র। আগামী লোকসভা অধিবেশন পর্যন্ত অর্ডিন্যান্সের মেয়াদ রয়েছে।

কিন্তু অর্ডিন্যান্স ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমনকী কলকাতা হাই কোর্টে এনিয়ে মামলার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী এবার থেকে বেআইনি লগ্নি সংস্থা ও চিট ফান্ড সংক্রান্ত কোনও মামলার তদন্ত করার এক্তিয়ার রাজ্যের হাতে থাকছে না। এমনকী রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই বেআইনি লগ্নি সংস্থা সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। এমনটাই জানানো হয়েছে অর্ডিন্যান্সে। তাতে বলা হয়েছে বেআইনি লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে একটি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা ‘কমপিটেন্ট অথরিটি’ তৈরি করবে রাজ্য সরকার। এই অথরিটির দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় সচিব পর্যায়ের আধিকারিক। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে নিয়োগ করবে কেন্দ্র।

Advertisement

দেশের যেকোনও রাজে্যর যেকোনও থানায় বেআইনি লগ্নি সংস্থা সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়লে সংশ্লিষ্ট থানাকে সঙ্গে সঙ্গে তা পাঠিয়ে দিতে হবে ‘কমপিটেন্ট অথরিটি’-র কাছে। ওই থানার এর থেকে বেশি কিছু করার থাকবে না। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে সিবিআইকে তদন্তভার তুলে দিতে পারবে ‘কমপিটেন্ট অথরিটি’। এক্ষেত্রে রাজ্যের অনুমতির প্রয়োজন পড়বে না। পাশাপাশি সিভিল কোর্টের অধিকার দেওয়া হয়েছে এই কমপিটেন্ট অথরিটিকে। তদন্তের স্বার্থে যেকোনও রাজ্যের আধিকারিক কিংবা কোনও ব্যক্তিকে সমন পাঠিয়ে হাজিরার নির্দেশ দিতে পারবে ২০১৩ তেই পশ্চিমবঙ্গে লাগু হয়েছে চিট ফান্ড বিরোধী নয়া বিল, ‘দ্যা ওয়েস্ বেঙ্গল প্রোটেকশন অফ ইন্টারেস্ট অফ ডিপোজিটরস ইন ফিনাশিয়াল এস্টাবলিশমেন্ট বিল ২০১৩’। ইতিমধ্যেই বর্তমানে কোনও বেআইনি লগ্নি সংস্থা সংক্রান্ত মামলার তদন্ত হচ্ছে এই আইনেই। আগামী রাজ্যসভার অধিবেশনে কেন্দ্রের এই নয়া বিলটি পাস হয়ে গেলেই রাজে্যর আইনের আর গুরুত্ব থাকবে না। কারণ এই বিল অনুযায়ী কোনও রাজে্য আর্থিক অপরাধ সংগঠিত হলেও সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনের তদন্ত করার কোনও এক্তিয়ার থাকছে না। হাই কোর্টের আইনজীবী অরিন্দম দাস জানিয়েছেন, “কেন্দ্রের এই অর্ডিন্যান্সে বেআইনি লগ্নি সংস্থা সংক্রান্ত আর্থিক অপরাধে রাজ্য তদন্ত করার অধিকার থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হবে। অর্ডিন্যান্সে একটি মাত্র সংস্থা সিবিআইকে তদন্তের অধিকার দেওয়া হয়েছে। যা সাংবিধানিক পরিকাঠামোর পরিপন্থী।”

[‘হানি ট্র্যাপ’-এ ভারতীয় জওয়ানদের ফাঁসাচ্ছে পাক গুপ্তচররা, ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement