Advertisement
Advertisement
CBI

বিদেশি বিনিয়োগের নামে দুর্নীতি একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার! দেশজুড়ে CBI হানায় বিস্ফোরক তথ্য

গত বছর জানুয়ারি মাসেই ১২ হাজার NGO'র বিদেশি অনুদান বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র।

CBI raids at 40 places In crackdown on NGOs over foreign donations | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 10, 2022 9:24 pm
  • Updated:May 10, 2022 9:24 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতিতে রাশ টানতেই গত বছরের গোড়ার দিকে প্রায় ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিদেশি অনুদানে রাশ টেনেছিল কেন্দ্র। কিন্তু তাতেও দুর্নীতিতে রাশ টানা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার ফের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এল। মঙ্গলবার দেশের প্রায় ৪০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই (CBI)। যাতে দেখা গিয়েছে সরকারি আধিকারিকরাই বেআইনিভাবে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে বিদেশি অনুদান নিতে সাহায্য করছে।

সিবিআই সূত্রের খবর, বিভিন্ন NGO-কে ঘুষের বিনিময়ে বিদেশি বিনিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মঙ্গলবার। এদের মধ্যে পাঁচজন উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকও রয়েছেন। অভিযোগ এই সরকারি আধিকারিকরাই ঘুষের বিনিময়ে বহু এনজিওকে বেআইনিভাবে বিদেশি অনুদান পেতে সাহায্য করেছেন। এই আধিকারিকরা আবার খোদ অমিত শাহর মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির বাজারে স্বস্তির খবর, ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার বাড়াল SBI]

সিবিআই জানিয়েছে, প্রায় ২ কোটি টাকার বেআইনি লেনদেনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যেগুলি কিনা রাজস্থান, দিল্লি, চেন্নাই, মাইশোরের বিভিন্ন হাওয়ালার মাধ্যমে লেনদেন করা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ পেয়েই সিবিআই তল্লাশি শুরু করে। তাতেই সর্ষের মধ্যে থেকে ভুত বেরিয়ে আসে। সিবিআই সূত্র বলছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকরাই বেআইনিভাবে বিভিন্ন এনজিওকে অনুদান পেতে সাহায্য করেছে।

[আরও পড়ুন: সন্তানদের নিয়ে ট্রেনযাত্রা এখন আরও সুবিধাজনক, রেলের কোচে বাচ্চাদের জন্য তৈরি বেবি বার্থ]

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে দেশের প্রায় ১২ হাজার এনজিওর বিদেশি অনুদান একধাক্কায় বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। তারপরও দফায় দফায় বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিনিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সাহায্য করছিল এই সংস্থাগুলি। কিন্তু বেনিয়মের অভিযোগে এই সংস্থাগুলির আয়ের উৎসই বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। এর মধ্যে মাদার টেরেসার সংস্থা মিশনারিজ অফ চ্যারিটিও ছিল। যার ফলে মাদারের সংস্থার কাজকর্মও ব্যাহত হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও চলেছে দীর্ঘদিন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement