মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: অবৈধ ভাবে বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগে (License Scam) জম্মু ও কাশ্মীরের (J&K) IAS আধিকারিক শাহিদ ইকবাল চৌধুরির বাড়িতে হানা দিল CBI। তাঁর বাড়ি ছাড়াও শনিবার জম্মু ও কাশ্মীর এবং দিল্লিতে ৪০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর, উধমপুর, রাজৌরি, অনন্তনাগ ও বারামুলা অন্যতম।
অভিযুক্ত ইকবাল বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরের আদিবাসী বিষয়ক দপ্তরের সচিবের পদে রয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ‘মিশন ইউথ’-এর সিইও পদেও আছেন। ইকবালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এর আগে কাঠুয়া, উধমপুর-সহ বিভিন্ন জেলায় ডেপুটি কমিশনার থাকার সময় তিনি কেবল জম্মু ও কাশ্মীরই নয়, বাইরের অন্য রাজ্যের হাজার হাজার ভুয়ো নামধারীদেরও তিনি বন্দুকের লাইসেন্স পাইয়ে দিয়েছিলেন।
গত কয়েক বছরে বহু দূর পর্যন্ত ছড়িয়েছে অবৈধ লাইসেন্সের চক্র। ২০১২ সাল থেকে এযাবৎ ২ লক্ষেরও বেশি বেআইনি লাইসেন্স ইস্যু হয়েছে কেবল জম্মু ও কাশ্মীরেই। গত বছরও আরেক আইএএস অফিসার রাজীব রঞ্জনকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল হুসেন রফিকি নামের আরেক অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিককেও। জানা গিয়েছিল, তাঁরা ডেপুটি কমিশনার থাকাকালীন এই ধরনের বহু লাইসেন্স ইস্যু করে দিয়েছিলেন। এই জালিয়াতির শিকড় আরও বহু দূর বিস্তৃত বলে তখনই সন্দেহ প্রকাশ করেছিল সিবিআই। তখনই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই নিয়ে আরও তদন্ত করা হবে। সেইমতোই শনিবারের হানার ঘটনা বুঝিয়ে দিল এই চক্রের পরদা ফাঁস করতে মরিয়া সিবিআই আধিকারিকরা।
প্রথমবার এই কেলেঙ্কারি নজরে আসে ২০১৭ সালে। সেই সময় রাজীবের দাদা ও আরও অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে বন্দুক বিক্রেতা ও ক্রেতার মাঝখানে দালালি করার। অভিযোগ, তৎকালীন জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন অভিযুক্তদের আড়াল করতে চেয়েছিল। তাই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয় লাইসেন্স কেলেঙ্কারিকে। কিন্তু কেস সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরেই শুরু হয় তদন্ত। এরপরই পরিষ্কার হয়ে যায় অনেক রাঘব বোয়াল জড়িয়ে রয়েছে এই কেলেঙ্কারিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.