১০০ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তলব সিবিআইয়ের

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতি মামলায় আরও বিপাকে মহারাষ্ট্রের সদ্য পদত্যাগী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। এবার তাঁকে নোটিস পাঠাল সিবিআই। পরমবীর সিংয়ের আনা ১০০ কোটি টাকা টাকার দুর্নীতি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বুধবারই তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিআই দপ্তরে।

CBI has summoned former Maharashtra Home Minister Anil Deshmukh on 14th April, in connection with alleged corruption case: CBI official pic.twitter.com/aVKjBOMZAx

Advertisement

— ANI (@ANI) April 12, 2021

আরও পড়ুন:

• দোষী প্রমাণিত হলে হবে দশবছরের জেল! কোন শর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন রাহুল?
• দিনভর শুনানিতেও যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়, সুপ্রিম কোর্টে ঝুলেই ২৬ হাজারের ভাগ্য

মুকেশ আম্বানির বাড়ির কাছে বিস্ফোরক ভরতি গাড়ি উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই অনিল দেশমুখকে ঘিরে রীতিমতো আলোড়িত মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। আম্বানির বাড়িতে বিস্ফোরক ভরতি গাড়ি উদ্ধারের এই ঘটনার তদন্ত করছিলেন মুম্বইয়ের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং (Param Bir Singh)। কিন্তু নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে পরমবীরকে সরিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশমুখ। তাঁকে বদলি করা হয় হোমগার্ডে। এর কয়েকদিনের মধ্যেই চিঠি লিখে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন পরমবীর। জানান, ধৃত শচীন ওয়াজেকে ব্যবহার করে মাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির ব্যবস্থা করেছিলেন দেশমুখ। হোটেল-রেস্তরাঁ-ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে মাসে ৪০ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। বাকি ৬০ কোটি অন্য উপায়ে জোগাড় হত বলে জানান পরমবীর। মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thakray) এবং শরদ পওয়ারকে চিঠি দিয়ে গোটা বিষয়টি জানিয়েও কোনও সুফল তিনি পাননি।

[আরও পড়ুন: জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে জরিমানা বাবদ ৩০০ কোটি টাকা তুলেছে SBI, দাবি রিপোর্টে]

পরমবীরের আনা অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন অনিল দেশমুখ। কিন্তু পদ ছাড়লেও দুর্নীতির অভিযোগের ভ্রুকুটি পিছু ছাড়ছে না তাঁকে। বম্বে হাই কোর্ট ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। যে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন তিনি। কিন্তু সেখানেও সুফল মেলেনি। সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালতও। ফলে তাঁকে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের মুখে পড়তেই হচ্ছে। সোমবারই সিবিআইয়ের তরফে তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। এখন দেখার বুধবার তিনি হাজিরা দেন কিনা।