ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ঙ্কর যৌন লালসা! গত ১০ বছর ধরে পঞ্চাশ জনের বেশি নাবালিকাকে ধর্ষণ (Rape)। সেই ভিডিও, ছবি তুলে ডার্ক ওয়েবে বিক্রিও করা হচ্ছিল। পাছে কুকর্ম ফাঁস হয়ে যায়, তাই নির্যাতিতাদের মুখ বন্ধ রাখতে দেওয়া হত দামী-দামী উপহার। তবে শেষরক্ষা হল না। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা সিবিআইয়ের (CBI) জালে ধরা পড়ল উত্তরপ্রদেশে সরকারি ইঞ্জিনিয়ার। জেরায় নিজের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেছে সে।
উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) বান্দা, চিত্রকূট এবং হামিরপুরে একাধিক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের খবর মিলছিল। চলতি বছরের শুরুতে সিবিআইয়ের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। তারই ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছিল সিবিআইয়ের বিশেষ দল। অবশেষে বান্দা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে তারা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর বাড়িতে তল্লাশি করে আট লক্ষ নগদ টাকা, বৈদ্যুতিন গ্যাজেটস, ৮টি মোবাইল, সেক্স টয়েজ, নাবালিকাদের যৌন নির্যাতন করার সামগ্রী, একাধিক ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশে সেচ দপ্তরে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ১০ বছরে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সি প্রায় ৫০ জন নাবালিকাকে ধর্ষণ, যৌন হেনস্তা করেছে সে। এমনকী, সেই ধর্ষণ বা লালসা মেটানোর সেই সমস্ত ভিডিও মোবাইল, ল্যাপটপ বন্দি করত। পরে সেই ছবি, ভিডিও ডার্ক ওয়েবে বিক্রিও করত। এর বিনিময়ে মোটা টাকা পেত অভিযুক্ত।
সিবিআই জানিয়েছে, অভিযুক্তর ইমেল খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে এক ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের নাবালিকাদের যৌনতার ভিডিও, ছবি সরবরাহ করত সে। এর বিনিময়ে মোটা টাকাও নিত। সেই টাকা দিয়ে দামী দামী উপহার দিয়ে নির্যাতিতাদের মুখ বন্ধ রাখাত। তবে শেষবধি তার সেই চাল কাজ করল না। তাকে জেরা করে এই চক্রের বাকিদের নাম জানার চেষ্টা করছে সিবিআই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.