ঘটনাস্থলের ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিশোরী মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্ত চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর কোনও কথাতেই গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ নিয়ে যেতে আসা পুলিশকর্মীরা। বাধ্য হয়ে কাঁদতে কাঁদতে রাস্তায় শুয়ে পড়ে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। আর এরপরই বেরিয়ে পরে পুলিশ কর্মীদের অমানবিক মুখের চেহারা। কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই ব্যক্তিকে সজোরে লাথি মারেন এক পুলিশকর্মী। তারপর জোর করে তাঁকে রাস্তা থেকে তুলে দেন। সম্প্রতি পাশবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি জেলার পাঠানচেরু শহরে। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের অমানবিক মুখের নিন্দায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে দেখে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী শ্রীধরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও।
#WATCH Telangana: Police personnel kicks father of a 16-yr-old girl who allegedly committed suicide on Feb 24 in her hostel in Sangareddy reportedly because college mgmt did not allow her to go home, although she was ill. A probe has been ordered against the personnel. (26.02) pic.twitter.com/OtxKYDMQ8Z
— ANI (@ANI) February 26, 2020
মাহবুবনগর (Mahabubnagar)-এর এনুগোন্ডা এলাকার ১৬ বছরের এক কিশোরীকে পাঠানচেরু শহর সংলগ্ন ভেলিমালার একটি আবাসিক কলেজে ভরতি করেছিলেন তার বাবা-মা। মঙ্গলবার বেসরকারি ওই কলেজের হোস্টেল থেকে একাদশ শ্রেণির ছাত্রীটির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশকে ও মৃতের পরিবারকে জানানো হয়, মানসিক অবসাদ থেকে আত্মঘাতী হয়েছে ওই কিশোরী। যদিও এই কথা মানতে চায়নি মেয়েটির পরিবার। তাদের মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যার গল্প সাজানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে।
মৃতের মায়ের অভিযোগ, মেয়ের দুদিন ধরে খুব জ্বর ছিল। তাই সে বাড়ি যাওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিল বলেই মেয়ের বান্ধবীরা জানিয়েছে। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি। এমনকী মেয়ের অসুস্থতার খবরও তাঁদের কাছে পৌঁছে দেয়নি। এরপর আচমকা মঙ্গলবার কলেজের হোস্টেল থেকে কিশোরীটির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর পাঠায়। পুলিশকে এই সম্পর্কে অভিযোগ জানালেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উলটে তাঁর স্বামী মেয়ের খুনের সঠিক তদন্তের দাবি করায় তাঁকে হেনস্তা করা হয়। এমনকী নালাগান্ডলার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মেয়ের মৃতদেহ যখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানচেরুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তখন তাঁর স্বামী কাঁদতে কাঁদতে রাস্তায় শুয়ে পড়েন। সঠিক বিচার চেয়ে কফিনবন্দি মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে যেতে বাধা দেন। এই সময় তাঁকে লাথি মেরে জোর করে তুলে দেন পুলিশকর্মীরা। পরে তিনি গিয়ে স্বামীকে মারমুখী পুলিশের হাত থেকে রক্ষা করেন।
লাথি মারার ভিডিওটি ভাইরাল হতেই পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠেন নেটিজেনরা। বিক্ষোভ দেখানো হয় পুড়য়াদের তরফেও। এরপর অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল শ্রীধরকে সাসপেন্ড করা হয়। যদিও এই ঘটনার জন্য পুলিশের কোনও দোষ নেই বলেই দাবি করেছেন সাঙ্গারেড্ডির পুলিশ সুপার চন্দন দীপ্তি। তাঁর কথায়, ওখানে কিছু মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.