ফাইল ছবি।
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে হেফাজতে পেল ইডি (ED)। শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট ৭ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও ইডি সায়গলকে ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়েছিল। কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ মেনেই সর্বোচ্চ ৭ দিনের হেফাজতের অনুমতি দেওয়া হয়।
সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। প্রথমদিকে তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য শেষপর্যন্ত তাঁকে রক্ষাকবচ দেয়নি। দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডিকে অনুমতি দেয় শীর্ষ আদালত। তবে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়। সেইমতো তাঁকে শুক্রবারই দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়।
আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার থেকে বের করে শুক্রবারই দিল্লি (Delhi) নিয়ে যাওয়া হল অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষীকে। ওইদিন তাঁকে ছোট প্রিজন ভ্যানে করে আসানসোল (Asansol) স্টেশনের পথে রওনা করানো হয়। সায়গলের নিরাপত্তায় ছিলেন একজন সাব ইন্সপেক্টর, একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর ও পাঁচ সশস্ত্র পুলিশ কনস্টেবল। এরপর শনিবার বেলায় সায়গল হোসেনকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করা হয়। ১৪ দিনের হেফাজতে চায় ইডি। কিন্তু বিচারক ৭ দিনের হেফাজতের অনুমোদন দেন।
গরু পাচার সংক্রান্ত চার্জশিটে সায়গলের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ ছিল, বীরভূম (Birbhum) করিডর দিয়ে যে গরু পাচার হত, তার জন্য অনুব্রতর হয়ে টাকা নিতেন সায়গল। তাই তাঁকে জেরা করলে একাধিক সূত্র সামনে আসতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও ইডি’র নজরে রয়েছে সায়গলের বিপুল সম্পত্তি। বাড়ি, জমি মিলিয়ে সায়গলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। একজন কনস্টেবল পদে চাকরি করে কী ভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.