সুব্রত বিশ্বাস: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর রাজ্য সফর চলাকালীন গরু পাচারকাণ্ডে জড়িতদের সন্ধানে বৃহস্পতিবার দিনভর কলকাতায় তল্লাশি চালায় CBI. এছাড়া আয়কর দপ্তরও হানা দিয়েছিল আসানসোল শিল্পাঞ্চলের একাধিক কয়লা ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে। এই তল্লাশিকে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বৃহস্পতিবার এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন। তবে কলকাতায় CBI তল্লাশিতেই মিলল সূত্র। শুক্রবার ভোরে দিল্লি থেকে গরু পাচারকাণ্ডের (Cattle smuggling) অন্যতম মূল অভিযুক্ত, মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী এনামুল হককে গ্রেপ্তার করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।
রাজ্যে গরু পাচারকাণ্ডে বৃহস্পতিবার কলকাতার চার জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। মানিকতলায় ব্যবসায়ী রাজন পোদ্দারের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি আটক করা হয়। এর আগে সেপ্টেম্বরে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের মোট ১৬ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালিয়ে বহু নথি সংগ্রহ করেছিল তদন্তকারী এই সংস্থা। দিন দুয়েক আগেও কলকাতায় শুল্ক দপ্তরের আধিকারিক-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। গোটা চক্রের জাল খুলে ধীরে ধীরে এগোচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছিল, সীমান্তে গরুপাচারে যোগসাজশ ছিল বিএসএফেরও। প্রতি গরুতে হাজার দুয়েক টাকা পেত বিএসএফের এক শ্রেণির কর্তারা। গরুর এই দরদাম চলত মুর্শিদাবাদের শুল্ক দপ্তরের এক শ্রেণির কর্তাদের যোগসাজশে।
এই বেআইনি নিলামে কম দামে গরু কিনে নিত কুখ্যাত পাচারকারীদের কিংপিন এনামুল হক, আনারুল ও মুস্তাফারা। তল্লাশি চালিয়ে তখনই সিবিআই জানতে পারে, প্রাক্তন বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারের যোগসাজশের কথা। এরপর তদন্তকারীরা বৃহস্পতিবার সতীশ কুমারের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি আটক করে। তাঁকে পাচারের মূল অভিযুক্ত করে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই।
বৃহস্পতিবার এই সতীশ কুমারের সল্টলেকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথিপত্র এবং তাকে জেরায় মেলা তথ্যের ভিত্তিতে এনামুলের সন্ধান মেলে। তবে কলকাতা কিংবা মুর্শিদাবাদে নয়, গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে CBI সক্রিয় হওয়ার পর থেকে এনামুল পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। শেষমেশ দিল্লি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.