Advertisement
Advertisement

বিয়ের পরেও মহিলাদের জাতিগত পরিচয় বদলায় না, রায় সুপ্রিম কোর্টের

চাকরি গেল কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার।

Caste of a women does not change even after marriage, says Supreme Court
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 21, 2018 6:08 am
  • Updated:January 21, 2018 7:37 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমরা যতই নিজেদের প্রগতিশীল বলি  না কেন, একথা অনস্বীকার্য, যে এদেশে এখনও মানুষের জাতিগত পরিচয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। হিন্দি বলয়ে তো আবার রাজনীতিতেও জাতপাতের প্রভাব দেখা যায়। আর সেই জাতিগত পরিচয় কখনই বদলাতে পারে না। এমনকী, বিয়ের পরেও না। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

[বিবর্তনবাদ তত্ত্ব ভুল! আজব দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যপাল সিংয়ের]

Advertisement

জন্মের পরই মানুষের জাতিগত পরিচয় নির্ধারিত হয়ে যায়। এতে আমার বা বা আপনার কোনও হাত নেই। সেই জাতিগত পরিচয়ই সারাজীবন বহন করতে হয়। কিন্তু, প্রচলিত সামাজিক রীতিতে এক্ষেত্রে মহিলারা বাড়তি সুবিধা পান। সোজা কথায়, বিয়ের পর পদবীর সাথে সাথে নববধূর জাতিগত পরিচয়ও পালটে যায়। যেমন ধরুন, কোনও অব্রাহ্মণ যুবতীর যদি ব্রাক্ষণ পরিবারে বিয়ে হয়, তাহলে তিনি পুজোপাঠের অধিকারী হন। আবার  উলটোটা হয়। কিন্তু, প্রচলিত এই রীতিটি আইনি যুক্তিতে ধোপে টিকল না। সুপ্রিম কোর্টে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জন্মসূত্রে পাওয়া জাতিগত পরিচয় কোনও অবস্থায় পালটে যাবে না। এমনকী, বিবাহিত মহিলাদেরও জন্মসূত্রে পাওয়া জাতিগত পরিচয়ই বহন করতে হবে। তাই চাকরি হারাতে হল এক মহিলাকে।

[অপমানের বদলা! প্রিন্সিপালকে গুলি করে খুন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের]

তপশিলি জাতিভুক্ত এক ব্যক্তিকে বিয়ের করার সুবাদে সংরক্ষণের আওতায় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছিলেন ওই মহিলা। প্রায় দু’দশক চাকরির করার পর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল হয়েছিলেন। কিন্তু, তপশিলি পরিবারের বধূ হলেও, ওই শিক্ষিকা উচ্চবংশে জন্মেছেন। তাই তাঁকে কীভাবে তপশিলি সংরক্ষণের আওতায় কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি নিয়োগ করা যায়? এই প্রশ্নে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। প্রচলিত সামাজিক রীতিতে যেহেতু মেয়েদের বিয়ের পর গোত্রও পরিবর্তিত হয়ে যায়, তাই উচ্চবংশের ওই মহিলা তপশিলি সংরক্ষণের আওতায় চাকরি পেয়েছিলেন। ছিল তপশিলি জাতির শংসাপত্রও। কিন্তু, আইনি যুক্তিতে তাঁর নিয়োগ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি এম এম শান্তনাগৌদারের বেঞ্চ রায় দিয়েছে, ওই মহিলার জন্মসূত্রে উচ্চবংশের। অর্থাৎ জেনারেল ক্যাটেগরির কর্মপ্রার্থী। তাই তপশিলি জাতিভুক্ত ব্যক্তিকে বিয়ে করার সুবাদে সংরক্ষণের সূবিধা পেতে পারেন না তিনি। কারণ বিয়ের পরেও মহিলাদের জন্মসূত্রে পাওয়া জাতিগত পরিচয় বদলে যায় না। বস্তুত, কারও-ই জাতিগত কোনও অবস্থাতেই পালটে যায় না।

[রক্তাক্ত বন্ধুকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন কিশোরের, দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশ!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement