সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ মন্দিরে যে দর্শনার্থী প্রথমবার প্রবেশ করবেন, তাঁর চক্ষু চড়কগাছ হতে বাধ্য। কারণ মন্দিরে মহালক্ষ্মীর মূর্তি নয়, আগে নজরে পড়বে গুচ্ছ গুচ্ছ টাকা। আজ্ঞে হ্যাঁ। ঠিকই পড়েছেন। মধ্যপ্রদেশের রাতমলের মহালক্ষ্মী মন্দিরের মূল আকর্ষণ টাকা দিয়ে সাজানো মন্দিরের অন্দরমহল।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, নোট, গয়না মিলিয়ে নয় নয় করে অন্তত ১০০ কোটি টাকার সরঞ্জাম দিয়ে সেজে ওঠে দেবীর স্থান। তবে এ সাজ দিওয়ালি স্পেশাল। দিওয়ালিতেই এভাবে টাকায় ছয়লাপ হয়ে যায় মন্দির। কিন্তু এত অর্থ আসে কোথা থেকে? কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, প্রতি বছর দীপাবলিতে অগণিত ভক্ত হাজির হন মায়ের দর্শনে। আর তখন টাকা, গয়না, মূল্যবান জিনিস মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের হাতে তুলে দেন। ভক্তদের সেই সব অর্থ, গয়না রাখা হয় মন্দিরের গর্ব গৃহে। এমন অভাবনীয় সাজ এই মন্দিরের ট্র্যাডিশনে পরিণত হয়েছে। মনের বিশ্বাস থেকেই ধনতেরসে এভাবে মায়ের আরাধনা করে হিন্দু পরিবারগুলি। মমতা পরওয়াল নামের এক ভক্ত বলছেন, “গত ছ’বছর ধরে মহালক্ষ্মী মন্দিরে আসছি। অত্যন্ত সন্তুষ্ট আমি। ঈশ্বরের কাছে যা কামনা করেছি, সব পেয়েছি।”
তবে যতদিন যাচ্ছে নোটের স্তূপে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে মায়ের মুখ। গর্ভগৃহ যেভাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছে, তাতে নতুন করে ভক্তদের জিনিস রাখার আর জায়গা নেই। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সঞ্জয়বাবু বলছেন, “টাকা, গয়না ও অন্যান্য মূল্যবান বস্তু নিয়ে অন্তত ১০০ কোটি টাকার সরঞ্জাম রয়েছে মন্দিরের ভিতর। প্রতিবারই দিওয়ালিতে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন। তাঁরা মন খুলে মায়ের মন্দিরে এসব জিনিস তুলে দেন। কিন্তু মন্দিরের ভিতর আর অর্থ রাখার জায়গা নেই। ফলে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।”
তবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পাহারা দেওয়ার জন্যও থাকে কড়া নিরাপত্তা। পুলিশ ও প্রসাশন থেকে দিওয়ালিতে নিরাপত্তা আঁটসাট করা হয়। দিওয়ালির পর অবশ্য প্রত্যেক ভক্তের মূল্যবান জিনিস তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তালিকা মিলিয়ে যে কাজ নিখুঁতভাবে করেন পুরোহিত। ভক্তরা জানাচ্ছেন, নিজেদের জিনিস ফেরত পেতে কখনও কোনও সমস্যা হয়নি তাঁদের। আর এভাবেই অন্যান্য মন্দিরের থেকে অনন্য হয়ে উঠেছে মহালক্ষ্মী মন্দির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.