Advertisement
Advertisement

Breaking News

Abhishek Manu Singhvi

রাজ্যসভায় অভিষেক মনু সিংভির আসনে নোটের তাড়া! তদন্তের নির্দেশ ধনকড়ের

৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল মিলেছে কংগ্রেস সাংসদের আসন থেকে। বিষয়টি রাজ্যসভার অ্যান্টি সাবোতেজ কমিটিতে পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সিংভি নিজেও।

Cash found from Rajya Sabha seat of Abhishek Manu Singhvi
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:December 6, 2024 11:40 am
  • Updated:December 6, 2024 3:36 pm  

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভির আসন থেকে মিলল ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল! শুক্রবার এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তার পরেই উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত হবে। তবে রাজ্যসভার আসনে টাকা উদ্ধারের তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই কেন সংশ্লিষ্ট সাংসদের নাম প্রকাশ করা হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার ২২২ নম্বর আসন থেকে ৫০০ টাকার নোটের এক বান্ডিল পাওয়া যায়। এখনও কেউ সেটার দাবি জানায়নি। এই কারণে বিষয়টি রাজ্যসভার অ্যান্টি সাবোতাজ কমিটিতে পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। নির্দেশ দেওয়ার সময়ে আসন সংখ্যা ও সেই আসন কার জন্য নির্দিষ্ট, সেটি উল্লেখ করা হয়। তাতেই প্রবল আপত্তি জানায় বিরোধীরা। তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই কীভাবে নাম ঘোষণা হল তাই নিয়ে আপত্তি করেন রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তদন্ত প্রভাবিত করতে চাইছে বিরোধীরা, পালটা দাবি করেন জে পি নাড্ডা।

Advertisement

গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ তথা বিখ্যাত আইনজীবী সিংভি। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৭ নাগাদ রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন। মিনিট তিনেকের মধ্যেই মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন। তার পর অন্তত আধঘণ্টা তিনি ছিলেন সংসদের ক্যান্টিনে। গোটা সময়ে তাঁর কাছে কেবল একটি ৫০০ টাকার নোট ছিল। দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি সংসদ চত্বর থেকে বেরিয়ে যান।

শুক্রবার অধিবেশনের শুরুতেই উপরাষ্ট্রপতি জানান, বৃহস্পতিবার নিয়মমাফিক তল্লাশি শেষে ২২২ নম্বর আসন থেকে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে। তাই আইনি পদ্ধতিতে গোটা ঘটনার তদন্ত হবে। সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সিংভি নিজেও। তাঁর কথায়, “প্রত্যেক সাংসদের জন্য নির্দিষ্ট আসন আছে, সেটা তালাবন্ধ করে রাখার ব্যবস্থা হোক। ওই চাবি থাকুক সংশ্লিষ্ট সাংসদের কাছে। সেটা না হলে যেকোনও সাংসদের আসনে যা খুশি করে এরকম অভিযোগ আনা যাবে।” কীভাবে কেউ এসে তাঁর আসনে টাকা রেখে যেতে পারে, সেটার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement