Advertisement
Advertisement

Breaking News

সোনিয়া

PM-CARES ফান্ড নিয়ে টুইট, সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে দায়ের হল মামলা

এক আইনজীবীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

Case Filed against Congress president Sonia Gandhi
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:May 21, 2020 9:03 pm
  • Updated:May 21, 2020 9:03 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে দায়ের হল মামলা। কর্ণাটকে প্রধানমন্ত্রী-কেয়ার্স তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগে দলের অফিসিয়াল টুইটারে পোস্ট করা একটি টুইটের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়। যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত সোনিয়া গান্ধীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। 

কর্ণাটকের শিবমোগা জেলার সাগরা শহরের পুলিশ বুধবার প্রবীণ কে ভি’র অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলাটি নথিভুক্ত করে। প্রবীণ কে ভি অভিযোগ জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের সরকারি টুইটার @INCIndia-এ সোনিয়া গান্ধী ভ্রান্ত তথ্য দিয়েছেন। পোস্টে ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’ তুলেছেন কংগ্রেস নেত্রী, এমন অভিযোগ তোলেন প্রবীণ। জানান, টুইটের মাধ্যমে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন। গত ১১ মে কংগ্রেসের তরফে একটি টুইটারে একটি পোস্ট করা হয়। সেই পোস্টের বিরুদ্ধেই থানায় এফআইআর করেছিলেন প্রবীণ। যার ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম জনগণকে অযাচিতভাবে উসকে দেওয়া ও অন্য কোনও শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপরাধ করার জন্য প্ররোচিত করা। তবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে জাতীয় কংগ্রেস।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ভারতীয় জওয়ানরা সীমানার মধ্যেই আছেন, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বেজিংকে কড়া জবাব দিল্লির ]

১১ মে ওই টুইটটি প্রকাশ্যে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়াতেই প্রবীণ কে ভি কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তখনই সোনিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানান তিনি। এরপর কর্ণাটকের কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি লেখেন। সেখানে তিনি জানান অভিযোগকারী প্রবীণ কেভি, যিনি পেশায় আইনজীবী, তিনি মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি আরও দাবি করেন যে, প্রবীণের দায়ের করা এফআইআরটি প্রত্যাহার করা হোক। যে পুলিশ অফিসার সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলা করেন, তাঁকে ‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে আইনের অপব্যবহারের জন্য’ বরখাস্ত করা উচিত বলেও দাবি করেন তিনি।

কর্ণাটকের কংগ্রেসের মুখপাত্র সুভাষ আগরওয়াল এই মামলার তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি জানান, সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা বিরোধীদের ভূমিকা ও অন্যতম দায়িত্ব। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হলে গণতন্ত্রের মৃত্যু হবে। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল তো আগে থেকেই ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী-কেয়ারস ফান্ডের কী প্রয়োজন ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

[ আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ড সরকারের নয়া উদ্যোগ, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বানানো হল কমিউনিটি কিচেন ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement