সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৮ সালে আহমদাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৪৯ জনের মধ্যে ৩৮ জনকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে গুজরাটের (BJP Gujarat) বিশেষ আদালত। সেই ইস্যুতে গুজরাট বিজেপির পোস্ট করা একটি কার্টুন নিয়ে ছড়ায় তীব্র বিতর্ক। ফলে টুইটারের রোষানলে পড়ে গেরুয়া শিবিরও। পোস্টটিকে ধর্মান্ধতার প্রতীক বলে দাবি করে সরব হয়ে ওঠেন অনেকেই। বিতর্ক এড়াতে পোস্টটি ডিলিট করে দেয় টুইটার।
গুজরাট বিজেপির অফিসিয়াল টুইটার (Twitter) হ্যান্ডেল থেকেই কার্টুনটি পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, মাথায় ফেজ টুপি পরা কয়েকজন ফাঁসির দড়িতে ঝুলছে। পিছনে উড়ছে তেরঙ্গা। পোস্টে লেখা, ‘সত্যমেব জয়তে’। এই কার্টুনকে কেন্দ্র করেই উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। এটি সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক পোস্ট বলেও দাবি করতে থাকে নেটিজেনদের একাংশ। টুইটারের কাছে এ নিয়ে রিপোর্টও করা হয়। তারপরই আসরে নামে টুইটার। বিতর্কের জল আরও গড়ানোর আগেই পোস্টটিকে মুছে ফেলা হয়।
LEFT: Cartoon depicting Jews & other Nazi enemies hanging on gallows 1935
RIGHT: BJP cartoon 2022
Cartoons were used widely in genocides of Jews in Germany & Tutsis in Rwanda. We expect nothing better from BJP, but should we assume that this appeals to BJP’s voters? pic.twitter.com/U0R54CZuFv
— Asaduddin Owaisi (@asadowaisi) February 20, 2022
গুজরাট বিজেপির মুখপাত্র ইয়াগনেশ দাভে বিষয়টি স্বীকার করে জানান, আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়াতেই পোস্টটি করা হয়েছিল। এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। তবে বিতর্ক দানা বাঁধায় টুইটার তা সরিয়ে ফেলেছে। এও জানা গিয়েছে, টুইটারের পাশাপাশি কার্টুনটি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলিতেও আর দেখা যাবে না।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ জুলাই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল আহমেদাবাদ (Ahmedabad blasts)। সেদিন সব মিলিয়ে ৭০ মিনিটের মধ্যে ২১টি জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। তাতে মৃত্যু হয় ৫৬ জনের। আহত হন ২০০-রও বেশি মানুষ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এই বিস্ফোরণের যড়যন্ত্র করেছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন নামের এক জঙ্গী গোষ্ঠী। মনে করা হয়, ২০০২ সালে গোধরা অগ্নিকাণ্ডের পরে গুজরাটে যে দাঙ্গা হয়, তারই বদলা নিতে এই নাশকতামূলক চক্রান্ত করেছিল ইসলামপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীটি। মামলায় অভিযুক্ত ৭৭ জনের মধ্যে ২৮ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দোষী সাব্যস্ত করা হয় ৪৯ জনকে। তাদের মধ্যে ৩৮ জনকে শোনানো হয়েছে ফাঁসির সাজা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.