সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাসুরের তাণ্ডবে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। গবেষকরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরেও এখনও আবিষ্কার করতে পারেনি এর প্রতিষেধক। এই পরিস্থিতি সংক্রমণ রোখার চেষ্টায় লকডাউনের সময়সীমা ১৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। সরকারি নির্দেশ মেনে বেশিরভাগ মানুষ গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটালেও কিছু মানুষ ভাঙছে নিয়ম। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্য, সাফাই ও পুলিশকর্মীদের হেনস্তাও করছে। শনিবার সকালে এমনই একটা ঘটনা ঘটল পাঞ্জাবের জলন্ধরে। সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ঘটনার ভিডিও পোস্ট হওয়ার পরেই ভাইরাল হয়েছে।
#WATCH Punjab: A car driver drags a police officer on car’s bonnet in Jalandhar, after the officer tried to stop the vehicle today, amid #COVID19 lockdown. pic.twitter.com/IZUuTHapsK
— ANI (@ANI) May 2, 2020
ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তা আটকানোর জেরে এক পুলিশ আধিকারিককে গাড়ির বনেটের উপর ফেলে বেশ কিছুটা দূরে টেনে নিয়ে গেল এক যুবক। পরে অবশ্য অন্য পুলিশ কর্মীদের তৎপরতায় ওই গাড়িটিকে আটকানো হয়। যুবককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এদিকে ভিডিওটি পোস্ট হওয়ার পরেই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। ওই যুবকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন সবাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউন (Lock down) – এর নিয়ম ভেঙে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিল ওই যুবক। জলন্ধরের মিল্কবার মোড়ের কাছে এক পুলিশ আধিকারিক ASI মুলকরাজ তার গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, ওই যুবক সজোরে গাড়ি চালিয়ে দেয়। বনেটের উপর ফেলে বেশ কিছুটা দূরে টেনে নিয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কী কারণে সে এই ধরনের ঘটনা ঘটাল তা জানার চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন পাতিয়ালার একটি বাজার বন্ধ করে গিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। সেখানে লকডাউনের নিয়ম ভেঙে গাড়ি চালানোর জেরে চরম গন্ডগোল হয়। নিকারি সম্প্রদায়ের কয়েকজন দুষ্কৃতী স্থানীয় থানার এএসআই হরজিৎ সিংয়ের হাত কেটে দেয়। আক্রান্ত হন আরও দুই পুলিশকর্মী। পরে পাঞ্জাব সরকারের তৎপরতা আর চিকিৎসকদের হাতযশে কাটা হাত জোড়া লাগে ওই পুলিশকর্মীর। দুদিন আগেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। আর এর মাঝেই ফের জলন্ধরে পুলিশকর্মীকে হেনস্তার ঘটনা ঘটল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.