সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্যটনের ভরা মরসুমের বেড়াতে গিয়ে অনেকসময় হোটেলে ঘর না পেয়ে হয়রান হতে হয় পর্যটকরা। আর এবার মাইসুরুতে গিয়ে তেমনই অভিজ্ঞতা হল খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও! বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় মোদি ও তাঁর সফরসঙ্গীদের ফিরিয়ে দিল হোটেল কর্তৃপক্ষ। শেষপর্যন্ত শহরের অন্য একটি হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর থাকার ব্যবস্থা করে জেলা প্রশাসন। এদিকে, ঘটনার সত্যতা স্বীকারও করেছেন ওই হোটেলের কর্ণধার।
[বোফর্সের মতোই ধামাচাপা পড়বে নীরবের কীর্তি, বিস্ফোরক দাবি আইনজীবীর]
কংগ্রেসশাসিত রাজ্য কর্ণাটক। সেই রাজ্যের মাইসুরু শহরে ললিতা মহল প্যালেস হোটেলে থাকার জায়গায় পেলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, রবিবার মাইসুরু গিয়েছিলেন মোদি। শহরের নামী হোটেলে তিনি রাত্রিবাসও করেছেন। কিন্তু, ঘটনা হল, শহরের সবচেয়ে অভিজাত হোটেল ললিতা মহল প্যালেসে প্রধানমন্ত্রীর থাকার ব্যবস্থা করতে চেয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু, তা সম্ভব হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে অন্য একটি হোটেল রাত কাটাতে হয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, তাঁর সফরসঙ্গী ও নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য যখন হোটেলে ঘর বুক করতে গিয়েছিলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা, তখন তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বেশিরভাগ ঘরই ভাড়া দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর থাকার জন্য ঘর দেওয়া সম্ভব নয়। জানা গিয়েছে, ওই হোটেল মাত্র তিনটে ঘর খালি ছিল। তাই নিরাপত্তাজনিত কারণে কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি প্রশাসনিক আধিকারিকরা। শেষপর্যন্ত, জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তড়িঘড়ি মাইসুরুর অন্য একটি পাঁচতারা হোটেলে মোদি ও তাঁর সফরসঙ্গীদের থাকার ব্যবস্থা হয়। সেই হোটেলেই রবিবার রাত্রিবাস করেন মোদি। ঘটনার সত্যতা স্বীকারও করে নিয়েছেন ললিতা মহল প্যালেস হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার জোসেফ ম্যাথিয়াস। তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের জন্য ঘর বুক করতে আমাদের হোটেলে এসেছিলেন ডেপুটি কমিশনারের দপ্তরের এক কর্মী। কিন্তু, হোটেলের বেশিরভাগ ঘরই একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া ছিল। তাই আমরা ঘর দিতে পারেনি।’
[যোগী এফেক্ট! থানায় এসে আত্মসমর্পণ এনকাউন্টারের ভয়ে কাঁটা অপরাধীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.