নিজস্ব সংবাদদাতা: বেবি পাউডারের পর এবার বেবি শ্যাম্পু। রাজস্থানের ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় আটকে গেল প্রথম সারির মার্কিন সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসনের এই পণ্য। অভিযোগ, ছোটদের জন্য তৈরি শ্যাম্পুতে মিলেছে মারাত্মক ক্ষতিকারক উপাদান। যা ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে৷
[আরও পড়ুন: এখনই গ্রেপ্তার করা যাবে না রবার্ট বঢরাকে, ইডিকে জানিয়ে দিল আদালত]
এই প্রথম নয়। এর আগেও পণ্যের গুণগত মান নিয়ে একাধিকবার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে শিশু পণ্য উৎপাদনকারী এই সংস্থাকে। জানা গিয়েছে, রাজস্থান সরকারের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ গত ৫ মার্চ এই সংস্থার দু’টি পৃথক ব্যাচের বেবি শ্যাম্পুর নমুনা সংগ্রহ করে। সেই গুনমান পরীক্ষায় কোনও শ্যাম্পুই পাশ করতে পারেনি বলেই জানিয়েছে রাজস্থান সরকার। জানা গিয়েছে, বেবি শ্যাম্পুতে রয়েছে ক্ষতিকর ফর্ম্যালডিহাইড। যা থেকে হতে পারে ক্যানসার। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জনসন অ্যান্ড জনসনের মুখপাত্র। তাঁর দাবি, শ্যাম্পুতে কোনওভাবেই ফর্ম্যালডিহাইড দেওয়া হয় না। এমন কোনও উপাদানও ব্যবহার করা হয় না, যা থেকে ফর্ম্যালডিহাইড নির্গত হয়।
জানা গিয়েছে, পণ্য সংরক্ষণের জন্য আগে ফর্ম্যালডিহাইড ব্যবহার করা হত। তবে বর্তমানে তা নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, শ্যাম্পুর গুণগত মান অটুট রাখতে ফর্ম্যালডিহাইড ব্যবহার করার কোনও প্রয়োজনই নেই। শিশু পণ্য-সহ যে কোনও পণ্যের গুণমান বজায় রাখতে সব রকম সতর্কতা পালন করা হয় বলেও সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে। বিশ্বের বাজারে প্রথম সারির এই শিশু পণ্য উৎপাদনকারী ও বিক্রেতা সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, সংস্থার নিজস্ব গবেষণাগারে নিয়মিত পরীক্ষা করা হয় এই বেবি শ্যাম্পু। এখনও পর্যন্ত তাতে কোনও ত্রুটি ধরা পড়েনি। জনসন সংস্থা যাইই বলুক, রাজস্থান ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের ফলাফলে কিন্তু বেশ উদ্বিগ্ন আমজনতা৷ শিশুদের দৈনন্দিন পরিচর্যায় সবচেয়ে নিরাপদ মনে করে যে সংস্থার জিনিস কেনা হত, এখন তাতেই বিপদ সংকেত দেখে চিন্তার ভাঁজ অভিভাবকরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.