সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বড়সড় সংস্কারের পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় সরকার। বছর দুই আগেই জাতীয় শিক্ষানীতির (NEP 2020) খসড়া তৈরি হয়েছে। তাতে স্কুলস্তরের সিলেবাস থেকে শুরু করে মূল্যায়ন পদ্ধতি – সবেতেই বদল আনা হয়েছে খসড়া অনুযায়ী। তবে তা নিয়ে নানা পক্ষের আপত্তি থাকায় এখনও সেই খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদিত হয়নি। ফলে প্রযোজ্যও নয়। এই পরিস্থিতিতে উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) নয়া প্রস্তাব আনতে চলেছে। অক্সফোর্ড, ইয়েলের মতো বিশ্ববিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস তৈরি হবে এ দেশেই। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে এ প্রসঙ্গে একটি খসড়া করা হয়েছে। তা বাস্তবায়িত হলে অনেকটা কম খরচে বিশ্বমানের শিক্ষার সুযোগ পাবেন এ দেশের পডুয়ারা। পাশাপাশি ওইসব প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকিটও মিলবে।
অক্সফোর্ড (Oxford), স্ট্যানফোর্ড, হার্ভার্ড কিংবা ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন তো থাকে অনেকেরই। মেধা আর যোগ্যতার ভিত্তিতে যদি বা সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করা যায়, তারপর সেখানে যাওয়ার খরচ নিয়ে ভাবতে হয় পড়ুয়াদের। মধ্যবিত্ত অথচ উচ্চ মেধার বহু পড়ুয়ার স্বপ্নই অধরা থেকে যায় স্রেফ অর্থাভাবে। তাঁদের কথা ভেবেই এবার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ইউজিসি। বিদেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর তাদের ক্যাম্পাস এবার তৈরি হতে চলেছে ভারতের মাটিতে। তাহলে উচ্চাকাঙ্ক্ষী পড়ুয়ারা সহজে কম খরচে উচ্চমানের শিক্ষালাভ করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার ইউজিসির চেয়ারপার্সন এম জগদেশ কুমার ঘোষণা করেছেন, উচ্চশিক্ষার (Higher Education) জন্য বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস তৈরির ব্যাপারে একটি খসড়া তৈরি হয়েছে। যা জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০’র অংশ। ইউজিসি অন্যান্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই কাজ করতে আগ্রহী। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জগদেশ কুমার। কীভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে (Universities) ভরতি হতে হবে, তার চূড়ান্ত পদ্ধতি এখনও ঠিক না হলেও প্রাথমিক রূপরেখা সম্পর্কে জানিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারপার্সন।
জানা গিয়েছে, আমেরিকার ইয়েল, স্ট্যানফোর্ড, হার্ভার্ড ও ইংল্যান্ডের কেম্বব্রিজ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বা কিংস কলেজের ক্যাম্পাস তৈরি হতে পারে ভারতে। এগুলি সবই হবে স্বায়ত্ত্বশাসিত। প্রয়োজনে স্কলারশিপও দেওয়া হবে। তবে সংরক্ষণের ভিত্তিতে ভরতির বিষয়টি ইউজিসি নিজেদের হাতে রাখেনি। বলা হয়েছে, যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে তবে সংরক্ষণের নিয়ম চালু করতে পারে। সে যাই হোক, ইউজিসির এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে এদেশের মেধাবী পড়ুয়াদের কাছে বিশ্বমানের শিক্ষাগ্রহণ কতখানি সুবিধার হবে, তা বলাই বাহুল্য। তাই এর অপেক্ষায় পড়ুয়ারাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.