Advertisement
Advertisement

Breaking News

বুলন্দশহর কাণ্ডের মূল অভিযুক্তের সমর্থনে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া

প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হিন্দুত্ববাদীরা।

 Campaign in support of Yogesh Raj on social media.
Published by: Tanujit Das
  • Posted:December 6, 2018 8:22 pm
  • Updated:December 6, 2018 10:19 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুলন্দশহর কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত যোগেশ রাজের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার। বজরং দলের ওই নেতাকে সমর্থন জানিয়ে এবং তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগ তুলে নেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করতে শুরু করেছেন অনুগামীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন তো কেউ বাহবা দিচ্ছেন।

[দ্রুত উন্নয়নে বিশ্বসেরা দেশের দশ শহর, তালিকায় নেই কলকাতা-দিল্লি-মুম্বই]

Advertisement

বুলন্দশহর কাণ্ডের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। ভিডিও বার্তায় এমনই দাবি করেছেন যোগেশ রাজ। সূত্রের খবর, এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তাঁর সমর্থনে প্রচার। যোগেশকে সমর্থন জানিয়ে, প্রথমে একটি ছবি আপলোড করেন অমিত কুমার মাথুর নামে এক ব্যাক্তি। সেখানে তিনি লেখেন, “আমি এবং হিন্দুরা যোগেশ রাজের পাশে আছি। ‘ভারত মাতা কি জয়’।” মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় অমিতের এই পোস্টটি। মনীষ ভরদ্বাজ নামের এক ব্যক্তি অমিতের ওই পোস্টেই কমেন্ট করে লেখেন, “এই ধর্ম যুদ্ধে আমিও যোগেশ রাজ  ও বজরং দলের সঙ্গে রয়েছি।”  যশ ভরদ্বাজ নামের এক ব্যক্তি লেখেন, “হয় বিজেপি পুলিশকে শুধরে নিক, নয়তো আমরা বিজেপিকে শুধরে দেব। যোগেশ নির্দোষ।” এখানেই শেষ নয়, কাউকে কাউকে সরব হতে দেখা গিয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে যোগেশকে। 

যদিও এই ঘটনায় পর থেকেই নিখোঁজ যোগেশ। পুলিশের অভিযোগপত্রে নাম থাকলেও, এখনও তাঁর হদিশ পায়নি প্রশাসন। বরং ভিডিওবার্তায় নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন তিনি। যোগেশ বলেন, ”এমনভাবে আমাকে পেশ করছে, যেন পুলিশের খাতায় আমার বিশাল অপরাধের রেকর্ড আছে। গোহত্যার খবর পেয়েই সোমবার মহাব গ্রামে আমি যাই। প্রশাসনিক কর্তারাও সেখানে ছিলেন। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যাই এবং তারপর সেখান থেকে চলে আসি।”

[লোকসভায় বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন মাধুরী! জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে]

উল্লেখ্য, গোরক্ষকদের তাণ্ডবে চলতি সপ্তাহের শুরুতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর। ভাঙচুর চালানো হয় থানায়, জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একাধিক গাড়ি এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে বিক্ষুব্ধরা। ইটের ঘায়ে মৃত্যু হয় এক নিরীহ পুলিশ অফিসার-সহ আরও একজনের। ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যোগ পাওয়া যায় বজরং দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপির। এখনও পর্যন্ত ৬০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। ২৮ জনকে চিহ্নিত করে তাদের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement