Advertisement
Advertisement

Breaking News

কোনও প্রমাণ ছাড়াই স্বামীকে ‘মদ্যপ’, ‘চরিত্রহীন’ বলাটা নিষ্ঠুরতা, মন্তব্য বম্বে হাই কোর্টের

মামলায় নিম্ন আদালতের রায়কেই বহাল রাখল হাই কোর্টও।

Calling husband womaniser and alcoholic without proof is amount to cruelty, says Bombay High Court। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:October 25, 2022 3:06 pm
  • Updated:October 25, 2022 3:06 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী ‘মদ্যপ ও একাধিক নারীসংসর্গে’ আসক্ত। কোনও প্রমাণ ছাড়াই এমন অভিযোগ তুললে তা নিষ্ঠুরতা বলেই গণ্য হবে। এমনটাই জানাল বম্বে হাই কোর্ট (Bombay High Court)। সেই সঙ্গে মামলাটিতে পুণের এক দম্পতির বিয়ে ভেঙে দেওয়া নিয়ে পারিবারিক আদালতের রায়কেই বহাল রাখল বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ।

পুণের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিকের বিরুদ্ধে পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁর ৫০ বছর বয়সি স্ত্রী। ২০০৫ সালের নভেম্বরে আদালত তাঁদের বিয়ে ভেঙে দেওয়ার পক্ষেই রায় দেয়। সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলা। এরপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ দেড় দশকেরও বেশি সময়। মারাও গিয়েছে ওই ব্যক্তি। অবশেষে পারিবারিক আদালতের রায়ই বজায় রাখল হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে খারিজ হয়ে গেল ওই মহিলার অভিযোগও। উল্লেখ্য, তাঁর স্বামীর মৃত্যু হলেও ব্যক্তির আইনত উত্তরাধিকারী যিনি তাঁকেই আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এবার রুপোলি পর্দার দুনিয়াতেও মাহি ম্যাজিক! দক্ষিণী ছবি দিয়ে হবে হাতেখড়ি]

বিচারপতি নীতীন জমদার ও বিচারপতি শর্মিলা দেশমুখের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, কোনও প্রমাণ ছাড়াই স্বামীর চরিত্রহানি করতে তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ আনা নিষ্ঠুরতারই শামিল। আদালত জানিয়ে দেয়, ওই ব্যক্তি সেনা আধিকারিক ছিলেন। তিনি অবসর নেন মেজর হিসেবে। সমাজে তাঁর সম্মানজনক একটি অবস্থান ছিল। এই পরিস্থিতিতে তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু তিনি কেবল নিজে বিবৃতি দেওয়া ছাড়া তাঁর বক্তব্যের পক্ষে কোনও রকম প্রমাণ দাখিল করেননি।

এদিকে মৃত ব্যক্তির তরফে আদালতে উপস্থিত থাকা আইনজীবী অভিযোগ জানান, ওই ব্যক্তির স্ত্রী নিয়মিত স্বামীর উপরে মানসিক অত্যাচার করতেন। এবং তাঁর সন্তান ও নাতি-নাতনিদের থেকেও তাঁকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতেন। এরপরই আদালত তাদের রায় জানাতে গিয়ে বলে, পারিবারিক আদালতের রায়ই পুনর্বহাল রাখা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: উপাচার্য বিতর্ক: কোর্টে ধাক্কা রাজ্যপালের, আচার্য অপসারণে বিল আনছে কেরলের বাম সরকার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement