Advertisement
Advertisement
china

ভারতের বাজারে বিপুল চিনা বিনিয়োগ, ‘চক্রান্ত’ দেখছে বণিক সংগঠন CAIT

তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের চিঠি বণিক সভার।

CAIT questing over Chinese investment in Indiab market
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 1, 2020 10:48 pm
  • Updated:July 1, 2020 10:48 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন-ভারতের বৈরতা দীর্ঘদিনের। এর মধ্যেও গত কয়েক বছর ধরে ভারতের একাধিক সংস্থায় বিপুল বিনিয়োগ করে চলেছে একাধিক চিনা সংস্থা। কখনও টাকা স্রেফ অর্থ বিনিয়োগ করছে, তো কখনও আবার ভারতে কারখানাই খুলে বসছেন তাঁরা। এর পিছনে আসল রহস্যটা কী? কেন ভারতে বিনিয়োগ করতে এত পছন্দ করে চিনা সংস্থাগুলি? এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই তো? ভারত-চিন স্নায়ুযুদ্ধে আবহে চিনা বিনিয়োগ নিয়ে তদন্তের দাবি জানাল বণিক সংগঠন CAIT (দ্য কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স)।

তথ্য বলছে, সম্প্রতি ভারতে একাধিক স্টার্টআপ সংস্থা তৈরি হয়েছে। আর বিনিয়োগের জন্য সেগুলিকেই পাখির চোখ করেছে চিনের ব্যবসায়ীরা। ওলা, ফ্লিপকার্ট, পেটিএম, সুইগি, ওয়ো, জোমাটো, পলিসি বাজারের মতো বহু সংস্থায় বিপুল পরিমাণ চিনা লগ্নি রয়েছে। কিন্তু কেন ভারতের বাজার ধরতে চাইছে চিনা সংস্থাগুলি? কেনই বা বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে ভারতের বাজারে? এর পিছনে কোনও চক্রান্ত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের আবেদন জানিয়েছে সিএআইটি ( CAIT)।

Advertisement

এমনকী, এ নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ, টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন তাঁরা। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, “আলিবাবা, টেনসেন্ট এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি চিনা সংস্থা ভারতে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে। এই পিছনে অন্য কোনও চক্রান্ত আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।” প্রসঙ্গত, এই ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সঙ্গে দেশের প্রায় সাত কোটি ব্যবসায়ী তথা ৪০ হাজার ব্যবসায়ী সংগঠন যুক্ত রয়েছে।

[আরও পড়ুন : বাড়ছে দূরত্ব! চিনা মাইক্রো ব্লগিং সাইট Weibo ছাড়লেন মোদি, মুছে ফেলা হল ১১৩টি পোস্ট]

সিএআইটি-র সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল কথায়, “যে সব চিনা সংস্থা ভারতের মাটিতে কারখানা তৈরি করেছে তাদের বিষয়েও তদন্ত দরকার। তারা কারখানা চালানোর নামে দেশের গোপন তথ্য চিনে পাচার করছে কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া দরকার।” তাঁর কথায়, সবার আগে দেশের নিরাপত্তা। প্রসঙ্গত, সোমবারই নিরাপত্তা ও সার্ভভৌমত্বের খাতিয়ে ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র সরকার। এমনকী, একাধিক চিনা সংস্থার বরাত বাতিল হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই তদন্ত শুরু হলে চিন যে বড়সড় আর্থিক ধাক্কা খাবে, তা বলাই বাহুল্য।

[আরও পড়ুন : টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ায় অনিশ্চিত দু’হাজার কর্মীর ভবিষ্যৎ, কী বার্তা দিলেন সংস্থার CEO?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement