সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন তালাক নিয়ে অর্ডিন্যান্স আনল কেন্দ্র। বহুদিনের দাবি মেনে অবশেষে এই প্রথাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করতে চলেছে মোদি সরকার। অপেক্ষা শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির সিলমোহরের। রাজনৈতিক তরজায় এতদিন রাজ্যসভায় থমকে ছিল তিন তালাক বিল। তাই উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগেই এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের। উল্লেখ্য পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো মুসলিম প্রধান দেশগুলিতেও অবৈধ তিন তালাক প্রথা। তবে শরিয়তের দোহাই দিয়ে ভারতে এই বর্বরোচিত প্রথার পক্ষেই দাঁড়িয়েছে এআইপিএলএমবি বা মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। পরিষ্কারভাবে নিজের মত না জানালেও তিন তালাক বিল নিয়ে বিরোধিতায় সরব প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস-সহ অন্যান্যরা।
As for other provisions are concerned, the mother/victim wife must get the custody of the minor child and the mother is entitled to a maintenance suitably determined by the magistrate for herself and the child: Law Minister RS Prasad #TripleTalaq pic.twitter.com/XnetsQcsks
— ANI (@ANI) September 19, 2018
Secondly, it’s compoundable, it can be compromised only at the insistence of the wife upon appropriate terms&conditions as determined by the magistrate. Thirdly, a bail can be granted by the magistrate upon reasonable grounds but only after hearing the victim wife also: RS Prasad pic.twitter.com/5nQ6SlROhi
— ANI (@ANI) September 19, 2018
#WATCH: Law Minister RS Prasad says, “It’s my serious charge with full sense of responsibility that a distinguished woman leader is ultimate leader of the Congress, yet barbaric inhuman Triple Talaq was not allowed to be ended by a Parliamentary law for pure vote bank politics” pic.twitter.com/R6m3hsiP6c
— ANI (@ANI) September 19, 2018
বুধবার আইন মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেন, কোনও নির্যাতিতা বা তাঁর পরিবার যদি তিন তালাকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, সেক্ষেত্রে পদক্ষেপ করবে পুলিশ। তবে স্ত্রীর সম্মতি থাকলে মামলা শিথিল হতে পারে। নয়া সংশোধনের মতে অভিযোগকারিনীর সঙ্গে আলোচনা করার পর অভিযুক্তকে জামিন দিতে পারবেন মেজিস্ট্রেট।
উল্লেখ্য, এনডিএ সরকারের শেষ বাদল অধিবেশনেও তিন তালাক বিলকে আইনে পরিণত করা যায়নি। বিল পেশ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি ছিল বিরোধীদের। তবে সরকার অনড় ছিল বিল পেশ করার সিদ্ধান্তে। বিরোধীদের দাবি ছিল, প্রস্তাবিত সংশোধনী এনে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে আলোচনার পর পরের অধিবেশনে পেশ করা হোক বিল। শেষপর্যন্ত তেমনটাই করতে হয় সরকারকে। তবে রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই ঠান্ডাঘরের পথেই যায় বিলটি।
প্রসঙ্গত, বিরোধীদের দাবি কিছুটা মেনে বিলটিতে তিনটি সংশোধনী এনেছিল মোদি সরকার। প্রথম সংশোধনীতে বলা ছিল, শুধুমাত্র ভুক্তভোগী মহিলা এবং তাঁর নিকট আত্মীয়রাই তিন তালাকের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। দ্বিতীয় সংশোধনীতে বলা হয়েছিল, তিন তালাকের পরে যদি ফের নতুন করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হয় এবং তাঁরা ফের একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন সেক্ষেত্রে মামলা তুলে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে স্ত্রীকে। তৃতীয় পরিবর্তনটি ছিল, তিন তালাক মামলায় অভিযুক্ত জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে যে বিলটি সরকার পেশ করেছিল সেই বিলে এই তিন আইনের কোনওটিই ছিল না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.