সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে আইনে পরিণত করার পিছনে বিজেপি সরকারের মূল উদ্দেশ্যই ছিল অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া। এই বিলে স্পষ্ট লেখা আছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আগত অমুসলিম শরণার্থীরাই ভারতের নাগরিকত্ব পাবে। তবে, আশ্চর্যজনকভাবে বিল নিয়ে আলোচনার সময় মুসলিমদের জন্য সুর কিছুটা হলেও নরম করলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন, যদি সজ্জন মুসলিমরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন, তাহলে সরকার তা বিবেচনা করে দেখবে।
নাগরিকত্ব বিলে সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুন্ন হওয়ার অভিযোগে শুরু থেকেই সরব ছিল বিরোধীরা। বিলটি পাশ হলে, সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করা হবে বলেও অভিযোগ করে বিরোধী শিবির। কংগ্রেস থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস পর্যন্ত, সমস্ত বিরোধীদেরই আশঙ্কা, মূলত মুসলিম সংখ্যালঘুদের সমস্যায় ফেলতেই এই বিল। বিরোধীদের সেই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে এদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন ভারতীয় মুসলিমদের। লোকসভায় তিনি সাফ জানিয়েছেন, ভারতীয় মুসলিমদের চিন্তার কোনও কারণ নেই।
অমিত শাহ নিজের জবাবি ভাষণে বলেন, “এই বিলের মাধ্যমে মুসলিমদের কোনও অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না। আইন অনুযায়ী যে কেউ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। এর আগেও অনেক লোককে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। পরেও দেওয়া হবে। এই বিল ০.০০১ শতাংশও মুসলিম বিরোধী নয়।” স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, সজ্জন মুসলিমরা যদি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন, তাহলে সরকার তা ভেবে দেখবে। অমিতের ভাষায়, “যদি কোনও ধর্মপ্রাণ মুসলিম আইন অনুযায়ী নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন, তাহলে তা ভেবে দেখা হবে।”
রাজনৈতিক মহল বলছে, মুসলিমদের প্রতি অমিত শাহর সুর নরম হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর, সবকা সাথ-সবকা বিকাশ মতাদর্শ নিয়ে এগোতে চাইছে বিজেপি। তাছাড়া সংখ্যালঘু মুসলিমদের সমর্থন ছাড়া বেশ কয়েকটি রাজ্যে ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয়। তাই পুরোপুরি মুসলিমদের চটাতেও চাইছেন না মোদি-শাহরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.