সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কার দখলে থাকবে কর্ণাটকের মসনদ? আগামী সাড়ে তিনবছর কি বিজেপির বি এস ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতা ধরে রাখবে? নাকি ফের কংগ্রেস-জেডিএস জোট বেঁধে বসবে কর্নাটকের মসনদে? এই উত্তর আপাতত ইভিএমবন্দি। বৃহস্পতিবার রাজ্যের ১৫টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়ে গেল। এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়ে গড়ে ৬০ শতাংশ।
হিসেব বলছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে বিজেপিকে ১৫টি আসনের মধ্যে অন্তত ছ’টি আসনে জিততে হবে। ছয় নয়, ১৫ আসনেই জিতবে বলে আত্মবিশ্বাসও প্রকাশ করেছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সেই লক্ষ্যে অধিকাংশ আসনেই গতবার কংগ্রেস বা জে়ডিএসের টিকিটে জিতে আসা বিক্ষুব্ধদের টিকিট দিয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু শেষরক্ষা হবে কি? উত্তর মিলবে আগামী ৯ ডিসেম্বর। তবে কংগ্রেস-জেডিএসের দাবি, মানুষ তাঁদের উপর আস্থা রাখবে। বিজেপির ঘোড়া কেনাবেচার রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করবে।
বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের আঠানি, কাগওয়া, গোকাক, ইয়েল্লাপা, হিরেকেরুর, রানেবেন্নুর, বিজয়নগর, ইশওয়েনথপুর, হসকোটে, কে আর পেটে এবং হনসুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন ছিল। যার মধ্যে হনসুর, কে আর পেটে, ইয়েশওয়ানথপুর, হসকোটে আসনে বিজেপির লড়াই বেশ কঠিন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১০৪টি আসন পেয়ে রাজ্যের বৃহত্তম দল হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ২২৪ আসন বি্শিষ্ট বিধানসভায় তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সেই সুযোগে জেডিএস ও কংগ্রেস হাত মিলিয়ে কর্ণাটকে সরকার গড়ে। এরপর কন্নড় রাজনীতিতে বহু পটপরিবর্তন হয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ২৮ টির মধ্যে ২৬টি আসন জেতে বিজেপি। রাতারাতি বদলে যায় বিধানসভার চিত্রও। কংগ্রেস ও জেডিএসের ১৭ জন বিধায়ক দল ছাড়েন। ফলে কংগ্রেস-জেডিএস সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। পরে বিজেপিতে যোগ দেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা। রাজ্যে সরকার গড়ে বিজেপি।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কংগ্রেস ও জেডিএসের বিক্ষুব্ধদের বিধায়ক পদ বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে ইয়েদুরাপ্পা সরকার। বিজেপির সরকারে টিকে থাকলেও, ১০৬ জন বিধায়ক নিয়ে তাঁদের ভাগ্য এখন সুতোয় ঝুলছে। আর তাই উপনির্বাচনে ছটি আসনে জয় গেরুয়া শিবিরের অবশ্যই প্রয়োজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.