ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে অনেকসময়ই দোষী ব্যক্তি হয়ে যান নিরপরাধ৷ আবার কখনও কখনও নিরপরাধকেও পেতে হয় শাস্তি৷ কিন্তু পুলিশকর্মীর অজ্ঞানতায় কাউকে কারাবাস করতে হয়েছে, শুনেছেন কখনও? তাও আবার পুলিশকর্মীর ইংরাজির জ্ঞান কম থাকার জেরে কারাবাস? অবাক হলেও, এটাই সত্যি৷ এমনই ঘটনা ঘটেছে বিহারে৷ ইংরেজিতে লেখা আদালতের নির্দেশের অর্থ বুঝতে পারেননি পুলিশকর্মী৷ তার জেরে শ্রীঘরেই এক রাত কাটাতে হল ব্যবসায়ীকে৷
গত ২৫ নভেম্বরের এই ঘটনাটি ঘটে বিহারের জেহানাবাদে। পুলিশকর্মীর অজ্ঞানতার শিকার হন স্থানীয় মিষ্টি ব্যবসায়ী নীরজ কুমার। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় তাঁর স্ত্রী রেণুদেবীকে প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ব্যবসায়ীর। তাঁর দাবি, দিনকয়েক নাকি সেই টাকা দিতে পারছিলেন না তিনি। রেণুও ছাড়ার পাত্রী নন৷ আবারও আদালতের দ্বারস্থ হন। মহিলার বয়ান শুনে নীরজের অস্থাবর সম্পত্তি খতিয়ে দেখার কথা ভাবেন বিচারক৷ পুলিশকে ব্যবসায়ীর সম্পত্তির রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ বিচারকের নির্দেশের কপিতে ইংরেজিতে লেখা ছিল ‘‘ডিসট্রেস ওয়ারেন্ট’’ অর্থাৎ সম্পত্তির হিসাব করার নির্দেশ। কিন্তু ‘‘ওয়ারেন্ট’’ শব্দটি থাকাতেই জেহানাবাদের পুলিশ মনে করে সেটি ‘‘অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট’’ অর্থাৎ ‘‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা’’। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কার সাধ্যি? ব্যস, নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করলেন পুলিশ আধিকারিক৷ নীরজকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ একরাতের জন্য ওই ব্যবসায়ীর ঠিকানা হয়ে যায় জেল৷ পরেরদিনই আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। সঙ্গে ‘ডিসট্রেস ওয়ারেন্ট’। তখনই বিচারক বুঝতে পারেন গন্ডগোল কোথায় হয়েছে৷ পুলিশের ইংরেজি বুঝতে না পারার ভুলে যদিও ততক্ষণে শ্রীঘরে রাত কাটিয়ে ফেলেছেন ব্যবসায়ী৷
জেহানাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) পঙ্কজ কুমার এই ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ওই নির্দেশ কোনওভাবেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নয়৷ স্পষ্টভাবেই ওই কাগজটিতে ব্যবসায়ীর সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখার নির্দেশ ছিল৷’’ বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা নিয়ে একেই বিরক্ত ব্যবসায়ী নীরজ কুমার৷ তার উপর আবার পুলিশের নির্দেশনামা বুঝতে ভুল করার ঘটনায় বিভ্রান্ত তিনি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.