সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার শুরু হল ষষ্ঠদশ লোকসভার শেষ অধিবেশন। চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।সংসদে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের অভিভাষণের সঙ্গেই শুরু হল বাজেট অধিবেশন। আগামী কাল অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি পেশ করা হবে বাজেট। মোদি সরকারের সর্বশেষ বাজেট পেশ। সংসদীয় প্রথামাফিক এই বাজেট হওয়া উচিত ভোট অন অ্যাকাউন্ট। মানে আগামী অর্থবর্ষের তিন মাসের আয়-ব্যয় বরাদ্দ। শপথ নেওয়ার পর জুলাই মাসে নতুন সরকারের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করাই রীতি। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে কী চমক দিতে চলেছে মোদি সরকার, সেটাই দেখার।
এদিন সংসদে রষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। কোবিন্দ বলেন, সরকার দুর্নীতি দমনে বদ্ধপরিকর। স্বচ্ছ শাসনব্যবস্থা পালনে একাধিক পদক্ষেপ করেছে সরকার। এদিন মোদি সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের ভূয়সী প্রসংশা করে কোবিন্দ জানান, গত চারমাসে হাসপাতালগুলিতে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পে পরিষেবা পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন ২০১৪ সালের আগে দেশ দিশাহীন ছিল। পালাবদলের পর মসনদে বসে নয়া ভারত গড়ার দিকে কাজ করেছে সরকার। সরকারের প্রকল্পগুলি থেকে সরাসরি লাভান্বিত হয়েছে গরিব মানুষ।
President Ram Nath Kovind: Citizenship Amendment Bill will make it easier to provide Indian citizenship to those who had to take refuge in India after facing oppression somewhere else. They were not at fault, they were victims of situations like that. pic.twitter.com/zX0IKJVuOu
— ANI (@ANI) January 31, 2019
President: Compromising with security needs is not in interest of present & future of country. New deals in last year, purchase of defence equipment raised morale of defence. After decades, Indian Air Force will use ultramodern Rafale aircraft in coming months&strengthen itself. pic.twitter.com/UvETm6GcEJ
— ANI (@ANI) January 31, 2019
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সমর্থনেও মত দেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ। তিনি বলেন, “বিদেশ নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে শরণ নেওয়া সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেবে এই বিল। এই মানুষগুলি পরিস্থিতির শিকার।” পাশাপাশি, বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে রাফালে ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য, নয়া হাতিয়ার আনায় দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা আরও মজবুত হয়েছে।আগামী বছর থেকেই বায়ুসেনার হাতে আসতে চলেছে অত্যাধুনিক রাফালে যুদ্ধবিমান। এদিকে, আজ রাষ্ট্রপতির অভিভাষণ, কাল বাজেট পেশ এবং তারপর রাষ্ট্রপতির অভিভাষণ ও বাজেট নিয়ে আলোচনার জন্য সময় ধার্য হয়েছে। ফলে সংসদীয় কাজ, অর্থাৎ বিল পাশ ইত্যাদির জন্য হাতে মাত্র তিনদিন সময় থাকছে। আর সেখানেই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জের সামনে মোদি সরকারের। কারণ এখনও পর্যন্ত বিল তিন তালাক ও নাগরিকত্ব বিল পাশ করানো যায়নি। এই দুই বিল আজও আটকে রয়েছে রাজ্যসভায়। তাই মোদি সরকারের আমলে সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে এই দুই বিল পাশ করানো না গেলে, সেগুলি আগামী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত থমকে থাকবে। ফলে সরকারের শেষ বেলায় বাজেটে মোদি সরকার যে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত কোনও মাস্টারস্ট্রোক দিতে চাইবেই, তা বলাই বাহুল্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.