সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে সদ্যসমাপ্ত উপনির্বাচন গুলিতেই শাসক বিজেপিকে মোক্ষম ধাক্কা দিয়েছে বিরোধী জোট৷ যার মধ্যে গেরুয়া শিবিরের সবচেয়ে বেশি মুখ পুড়েছে যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে৷ ২০১৪-র লোকসভায় যেখানে গেরুয়া ঝড় বয়ে গিয়েছিল, সেখানে পরপর উপনির্বাচনে লজ্জাজনক হারের মুখ দেখতে হয়েছে তাঁদের৷ উত্তরপ্রদেশের বহেনজি-ভাইয়াজি জোটের কাছে কার্যত নতিস্বীকার করতে হয়েছে মোদি-শাহ ব্রিডেগকে৷ তবে এই জোটের মাথায় চিন্তার ভাঁজ ফেলেছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী৷ সূত্রের খবর, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশ অর্থাৎ ৪০শতাংশ আসন একাই দাবি করতে পারেন এই দলিত নেত্রী৷
[মুসলিম যুগলকে লিভ-ইনে থাকার অনুমতি, বেনজির রায় কেরল হাই কোর্টের]
‘হয় সম্মানজনক আসন বণ্টন, নাহলে একলা চলো’- এই মন্তব্য করে আগেই জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কার মেঘ তৈরি করেন বহেনজি৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, এবার যে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, তা কেবল হতাশই করছে না কার্যত প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে ফেডরাল ফ্রেন্টের বাস্তবতা নিয়ে৷ গোরক্ষপুর-ফুলপুরের পর সম্প্রতি কৈরানার লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে একজোট হয়ে শক্তি প্রদর্শন করেন বিরোধীরা৷ জোটবদ্ধ হয় কংগ্রেস, সমাজবাজী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি ও রাষ্ট্রীয় লোক দল৷ ‘একের বিরুদ্ধে এক’ নীতিতে ভর করে সেখানে বিরোধীদের প্রার্থী দেওয়া হয় আরএলডি-র তাবাস্সুম হাসানকে৷ আশাতীত ফল করে বিজেপিকে মাত দিয়েছে বিরোধী শিবির৷ কেবল কৈরানা নয়, একই দিনে উপনির্বাচন হয় উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা আসন নূরপুরে৷ সেখানেও হাতে-হাত রেখে লড়াই করে সপা-বিএসপি৷ ভোটের ভাগাভাগি রুখতে এবং বিজেপিকে এর সুফল পাওয়া থেকে বিরত রাখতে দুই কেন্দ্রেই প্রার্থী দেয়নি বিএসপি৷ তবে দুই কেন্দ্রেই যথেষ্ট সংখ্যায় দলিত ভোট ছিল এবং এর পুরোটাই বিরোধী শিবিরের ঝুলিতে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত৷ এরপরেই বিএসপি শিবির থেকে আসন্ন লোকসভায় ৮০টি আসনের মধ্যে ৪০টি আসন দেওয়ার দাবি উঠতে শুরু করেছে৷
[অযৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছে কৃষকরা, বিতর্ক উসকে মন্তব্য হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর]
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে ৩৪টিতে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিল বিএসপি৷ পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টি দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিল ৩১টি আসনে৷ সূত্রের খবর, এই আসনগুলিকেই টার্গেট করেছে উভয় দল৷ সেক্ষেত্রে গোবলয়ে সমানভাবে প্রাসঙ্গিক যাদব ভোট ও দলিত ভোট ভাগ হওয়া আটকানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ পাশপাশি, বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে চলেছেন মায়াবতী৷ ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ৪০ থেকে ৫০টি আসন বিএসপিকে ছাড়তে পারে কংগ্রেস৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.