Advertisement
Advertisement
বিএসএনএল

BSNL-এর স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প ঘোষণা কেন্দ্রের, চাকরি হারাতে পারেন বহু কর্মী

জেনে নিন এই স্কিমের খুঁটিনাটি।

BSNL’s VRS package is out and valid till December 3
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 5, 2019 5:00 pm
  • Updated:November 5, 2019 6:20 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে মিলল অনুমোদন। সোমবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প (ভিআরএস) ঘোষণা করল বিএসএনএল এবং এমটিএনএল। কোন কর্মীরা কবে কীভাবে এতে শামিল হবেন, সে বিষয়েও বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হল। সংস্থার সব সার্কলের শীর্ষ কর্তাদের এই নির্দেশিকা পাঠান ডিজিএম এসএস প্রসাদ। সংস্থার অফিসিয়াল পোর্টালেও এই সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

গত ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা দুটির পুনরুজ্জীবন প্রকল্পে ৬৯,০০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। যার অন্যতম অঙ্গ ছিল ভিআরএস। পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন টেলিকমমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই সোমবার তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসেন দুই সংস্থার কর্মী ও আধিকারিকদের সংগঠন। সেখানেই অন্তত একটি রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থার উপস্থিতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সে নিয়ে আলোচনা করা হয়। পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে বিএসএনএলের সঙ্গে মিশে যাবে এমটিএনএল। জানা গিয়েছে, এই সংস্থায় ভিআরএস স্কিমের আওতায় আসার শেষ তারিখ চলতি বছরের ৩ ডিসেম্বর। ৫০ বছর এবং তার বেশি বয়সের কর্মীরাই এই স্কিমের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। বিএসএনএল এবং এমটিএনএল মিলিয়ে বর্তমানে মোট দু’লক্ষ কর্মচারী রয়েছে। যার মধ্যে এক লক্ষ ২১ হাজারই এই স্কিমের আওয়ায় আসতে পারবেন। অবসরের বয়স ৬০ থেকে কমে ৫৮ বছর হবে বলেও জল্পনা চলছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: উত্তর ভারতের দূষণ নিয়ে চিন্তিত প্রধানমন্ত্রী, সমস্যা সমাধানে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক]

সরকারের লক্ষ্য, বিএসএনএল ও এমটিএনএল-এর সংযুক্তির পর দু’বছরের মধ্যে সংস্থাটি মুনাফা করবে। সরকার তাদের ফোর-জি স্পেকট্রাম দিলে ফোর-জি পরিষেবা শুরু করতে পারবে বলে আত্মবিশ্বাসী বিএসএনএল। তবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অভিযোগ, স্বেচ্ছাবসরের মাধ্যমে কেন্দ্র এই দুই সংস্থায় প্রচুর পরিমাণ পদের অবলুপ্তি ঘটাতে চলেছে। ফলে প্রায় এক লক্ষ কর্মী চাকরি খোয়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই কর্মসংস্থানের বাজারে এর খারাপ প্রভাব পড়বে। 

ভিআরএসের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্টগুলি তুলে ধরতে হেল্প-ডেস্ক গড়তে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনে সার্কল অফিস, জোনাল অফিস, জেলা অফিস বা অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিল বোর্ড রাখারও নির্দেশ দিয়েছে সদর দপ্তর। 

[আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে হেলমেট পড়ে কাজ করছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা, হাসির রোল নেটদুনিয়ায়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement