Advertisement
Advertisement
রেহানা ফতিমা

শবরীমালায় ঢোকার চেষ্টায় হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত রেহানার! অবসরের নির্দেশ BSNL-এর

এর আগে বদলিও করা হয়েছে কেরলের ওই সমাজকর্মীকে।

BSNL orders compulsory retirement for Kerala activist Rehana Fathima
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 15, 2020 1:34 pm
  • Updated:May 15, 2020 1:34 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলাদের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপরই মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করেন কেরলের সমাজকর্মী রেহানা ফতিমা। এই ‘অপরাধে’ বিএসএনএলে চাকুরিরতা রেহানাকে অন্যত্র বদলি করা হয় আগেই। আয়াপ্পার মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করায় একমাত্র রেহানার জন্য সংস্থার মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে বলেই দাবি কর্তৃপক্ষের। এছাড়া ওই টেলিকম সংস্থার দাবি, ইচ্ছা করেই পুণ্যার্থীদের ভাবাবেগে আঘাত করতেই শবরীমালা মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করেন রেহানা। তার জেরে কঠোর সিদ্ধান্ত নিল বিএসএনএল (BSNL)। এবার ওই সমাজকর্মীকে বাধ্যতামূলক অবসর নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সমাজ সংস্কারমূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকেন রেহানা। তার ফলে বারবার রোষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। গত বছর বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কোঝিকোড়ের ফারুক ট্রেনিং কলেজের অধ্যাপক জওহল মুনাভির টি। মুসলিম মহিলাদের বক্ষযুগলকে তরমুজের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তার তীব্র প্রতিবাদ করেছিল কেরলের পড়ুয়ারা। তাতে শামিল হয়েছিলেন দুই সন্তানের মা রেহানা ফতিমাও। তরমুজ হাতে টপলেস ছবি তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চলবে বাস, বিমান! কেমন হবে চতুর্থ দফার লকডাউনের রূপরেখা?]

সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই কেরলের শবরীমালা মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন রেহানা। পানামবিলিনগরের বাড়িতে সেই সময় ভাঙচুর চালায় একদল হামলাকারী। মামলা দায়ের করে পাঠানমথিট্টা থানার পুলিশ। শবরীমালার থেকে ব্যর্থ হয়েছিলেন রেহানা। তারপর থেকে সমাজে প্রায় ‘একঘরে’ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কেরল মুসলিম জামাত কাউন্সিলও মুসলিম সম্প্রদায় থেকে রেহানাকে বহিষ্কার করে। তিনি হিন্দু দর্শনার্থীর আবেগে আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। এর্নাকুলাম সেন্ট্রাল মুসলিম জামাত সংগঠনকে নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁর গোটা পরিবারকে ‘একঘরে’ করে দিতে।

তার উপর আবার কর্মক্ষেত্রেও প্রবল চাপের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। বছর বত্রিশের রেহানা বিএসএনএলের জনসংযোগ বিভাগে টেলিকম টেকনিশিয়ান হিসাবে কর্মরত। পাশাপাশি মডেলিংও করতেন। মন্দিরে ঢোকার চেষ্টার কথা রটে যাওয়ার পরই তাঁকে পালারিভাত্তোম টেলিফোন এক্সচেঞ্জে বদলি করে দেওয়া হয়। কোনও গ্রাহকের সঙ্গেই যাতে তিনি সরাসরি কথাবার্তা বলতে না পারেন, সেই বন্দোবস্তও করা হয়। এবার ওই সমাজকর্মীকে বাধ্যতামূলক অবসর নেওয়ার নির্দেশ দিল বিএসএনএল।

[আরও পড়ুন: ‘গরিব কল্যাণে নজর দিয়েছে ভারত সরকার’, বিশাল অঙ্কের সাহায্য ঘোষণা বিশ্ব ব্যাংকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement