ছবি: প্রতীকী
প্রণব সরকার, আগরতলা: ত্রিপুরায় বিএসএফ (BSF) আধিকারিকের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। বুধবার রাতে ক্যাম্পে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। আত্মহত্যা নাকি খুন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে।
ত্রিপুরার (Tripura) আমবাসায় রয়েছে বর্ডার সিকিওরিটি ফোর্স বা সীমান্তরক্ষা বাহিনীর ৩৯ ব্যাটেলিয়ানের ক্যাম্প। সেই ব্যাটেলিয়ানের ডেপুটি কমান্ডার লালুরাম মীনা (৫৩)। সূত্রের খবর, আমবাসার জওহরনগরের ক্যাম্পে ফেরার পথে রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
আধাসেনা জওয়ানের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় পড়ে থাকার খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে ধলাই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা বলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সহ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুমন মজুমদার ধলাই জেলা হাসপাতালে ছুটে যান। তবে কীভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন তিনি, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তদন্ত করে কারণ জানার চেষ্টা করছে ত্রিপুরা পুলিশ।
একাংশের দাবি, নিজের রাইফেল থেকেই গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন লালুরাম মীনা। কাজের চাপ, মানসিক উদ্বেগ না কি পারিবারিক টানাপোড়েনের জেরে চরম পরিণতির পথে হাঁটলেন বিএসএফের ডেপুটি কমান্ডার তা এখনও জানা যায়নি। তবে খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। কারোর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ বলে দাবি করে পুলিশ। তবে মৃতের সহকর্মী, পরিবারের লোককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের খোঁজ শুরু করেছে তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ছুটি নিয়ে বচসার জেরে নারকীয় হত্যালীলা চালিয়েছিলেন এক বিএসএফ জওয়ান। যদিও ঘটনাটি ঘটেছিল বাংলায়। তাঁর গুলিতে মৃত্যু হল ২ সহকর্মীর। ভোর ৩টের আশেপাশে ছুটি নেওয়া নিয়ে কমান্ডান্ট মহেন্দ্র সিং ভাট্টির সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন অভিযুক্ত জওয়ান উত্তম সূত্রধর। এরপর বচসা এমন পর্যায় পৌঁছয় যে আচমকাই নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে দেন উত্তম। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় কমান্ডান্ট-সহ ২ জনের। জানা গিয়েছে, মহেন্দ্র সিং ভাট্টি ছাড়াও মৃত্যু হয়েছে অনুজ কুমার নামে এক কনস্টেবলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.